আসন্ন পবিত্র রমজানে ভোক্তাদের স্বস্তিতে বাজার করার সুযোগ নিশ্চিত করতে বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। পুরো রমজান মাসজুড়ে চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার ১৫টি উপজেলাকে ২১টি সার্কেলে ভাগ করে চালানো হবে ৪০০টি বিশেষ অভিযান।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, প্রতিটি বাজারে মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক করা হবে। ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা, পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারসাজি কিংবা মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, “রমজানে অনিয়মকারীদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রস্তুত।”
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নগরীর ৬টি সার্কেল এবং ১৫টি উপজেলা সার্কেলজুড়ে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করবে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ টিম। পাশাপাশি মাঠে থাকবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বিশেষ করে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট ও খোলা তেলের অতিরিক্ত দামের বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি থাকবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, “ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট যেন তৈরি না হয়, সেজন্য খাতুনগঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দ্রুত বৈঠক করা হবে।”
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে ইতোমধ্যে নগরীতে ৬টি এবং উপজেলায় ১৫টি মতবিনিময় সভা করেছে জেলা প্রশাসন। এসব সভায় ব্যবসায়ীদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাজারে অস্থিতিশীলতা মেনে নেওয়া হবে না। ব্যবসায়ীরাও প্রশাসনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।
তিনি বলেন, “গত ২০ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সবাই আশ্বস্ত করেছেন, রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে তারা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ যেন স্বস্তিতে বাজার করতে পারে, সেটিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”
এছাড়া, মুরগি, গরু, কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান এমনকি কাপড়ের মার্কেটেও নিয়মিত মনিটরিং চালানো হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
তিনি বলেন, “রমজানের প্রতিটি দিন জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম মাঠে থাকবে, যাতে ভোক্তারা স্বস্তি পান।”
