সিরাজগঞ্জে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় কাজের বিনিময়ে বিপুল টাকা ও চাল, গম ব্যয়ে ৫৯৪টি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী জুন মাসে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থ বছরে জেলার ৯টি উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামোর বিভিন্ন প্রকল্পের সংস্কার কাজ বাস্তবায়নে সরকার কাজের বিনিময়ে ১৪ কোটি ৪৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় এবং সেইসাথে কাজের বিনিময়ে ১ হাজার ৩২ মেঃ টন গম ও ১ হাজার ৩২ মেঃ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। সরকারি বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন বিভাগের তত্ত্বাবধানে সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, কামারখন্দ, বেলকুচি, চৌহালী, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের গঠিত বাস্তবায়ন কমিটি প্রকল্প সমূহে কাজ শুরু করে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, রাস্তাঘাট সংস্কার, মাঠ ভরাটসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ। তবে রাস্তাঘাট পাকাকরণ প্রকল্পের সংখ্যা বেশি।
প্রকল্প সমূহে বরাদ্দকৃত নগদ টাকা ব্যয় এবং বরাদ্দকৃত চাল ও গম প্রকল্প কাজে ব্যয় করা হচ্ছে। এরমধ্যে জেলার সবকয়টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে উল্লিখিত টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের সংখ্যা ৩৪৩ এবং বিধি অনুযায়ী গম ও চাল ব্যয়ে ২৫১ টি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে তাড়াশ, কাজিপুর, শাহজাদপুর, চৌহালী ও বেলকুচি উপজেলার প্রকল্প সংখ্যা বেশি। ইতোমধ্যেই প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে উল্লিখিত বরাদ্দের টাকা ব্যয়ে প্রকল্প সমূহের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং গম ও চাল ব্যয়ে প্রকল্প সমূহের কাজ এগিয়ে চলছে।
এসব প্রকল্পে গড়ে প্রায় ৮০% কাজ হয়েছে। প্রকল্প সমূহে বাস্তবায়ন কাজে এখনও অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ উঠেনি। এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল বাছেদ আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, সরকারের বিধি অনুযায়ী উল্লিখিত টাকা ও গম চাল ব্যয়ে ৫৯৪ টি প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যেই প্রকল্প সমূহে গড়ে ৮০% কাজ হয়েছে।
এ প্রতিবেদকের এক প্রশ্নোত্তরে তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় এসব প্রকল্প কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন এসব প্রকল্পের কাজে কঠোর নজরদারি করছেন এবং যথানিয়মে প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করছেন। এজন্য প্রকল্প সমূহে অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ার সুযোগ নেই। আগামী জুন মাসে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।