জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল এলাকায় একটি ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে শতাধিক বিঘা জমির ধান ও অন্যান্য ফসল পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ৯৫ জন কৃষককে প্রায় ৮ লাখ ৫১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলেও কৃষকরা বলছেন, ক্ষতির তুলনায় প্রাপ্ত অর্থ খুবই সামান্য।
ফসল নষ্টের ঘটনায় ভাটা মালিকের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ কৃষকরা ভাটাটি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
এর আগে ২৭ এপ্রিল ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হিলি-জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে সদর উপজেলা হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হয়। তবে ইটভাটা কর্তৃপক্ষের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
পুরানাপৈল বড়তাজপুর এলাকার কৃষক আজাদুল বলেন, “এক বিঘা জমিতে ২০-২৫ হাজার টাকার ধান হয়, সেখানে পেয়েছি মাত্র ২৬০০ টাকা। এটা কোনো ক্ষতিপূরণ না। এভাবে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে চলবে না।”
গতনশহর এলাকার কৃষক মশিউর রহমান বলেন, “আমার ১৫ শতক জমির জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে মাত্র ১০৮০ টাকা। অথচ পাশের জমির কৃষক ৭ হাজার বা ১৪ হাজার টাকা পেয়েছেন। কৃষি বিভাগ কীভাবে হিসাব করেছে, সেটা জানতে চাই।”
পুরানাপৈল ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরমান আলী (হিরো) বলেন, “আগেও এমন ক্ষতি হয়েছে, আবারও হতে পারে। তাই ইটভাটার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।”
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাশেদুল ইসলাম বলেন, “ভাটা মালিকের সহযোগিতায় ৯৫ জন কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে জানতে চেয়েছি ভাটাটির বৈধতা রয়েছে কি না। তাদের তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”