কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণসামগ্রী অবৈধভাবে মজুদ ও পাচারের অভিযোগে চার ব্যক্তিকে মোট ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে বালুখালী ও কুতুপালং এলাকার বিভিন্ন গুদামে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী। অভিযানে দেখা যায়, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (WFP)-এর সরবরাহকৃত চাল, ডাল, তেল, চিনি, সাবান ও পুষ্টি খাদ্য স্থানীয় কিছু ব্যক্তি নিজেদের গুদামে মজুদ করে রেখেছেন, যা বিক্রয়যোগ্য নয় এবং তা মিয়ানমারে পাচারের পরিকল্পনাও ছিল বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৫৬-এর ৬ ধারায় চার ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা করে মোট চার লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
উদ্ধারকৃত ত্রাণসামগ্রী হলো- পালংখালী ইউনিয়নের মফিদুল আলমের গুদাম থেকে জব্দ করা হয় ১৬১ বস্তা চিনি, ৩৪ বস্তা চাল, ১৪ বস্তা ডাল ও ১৮০ লিটার তেল। রাজাপালং ইউনিয়নের আলী হোসেনের গুদাম থেকে পাওয়া যায় ৮৩ বস্তা চাল, ৫১ বস্তা চিনি, ৪ বস্তা ডাল, ৩২৭ লিটার তেল, ২৮৮টি সাবান ও ৬ বস্তা পুষ্টি খাদ্য। একই ইউনিয়নের ইউনুছ আলীর গুদামে মজুদ ছিল ১৪২ বস্তা চাল, ৬২ বস্তা চিনি ও ৮০০ লিটার তেল। দরগাহবিলের ইসমাইল হোসেনের দোকান থেকে পাওয়া যায় ১৮ বস্তা চিনি (প্রতিটি ৫০ কেজি), ৮০ বস্তা চাল, ৫০০ লিটার তেল, ১০০টি লাক্স সাবান ও ৪ বস্তা হলুদ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী জানান, উদ্ধারকৃত ত্রাণসামগ্রী শুধুমাত্র রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য বরাদ্দ।অবৈধভাবে এসব ত্রাণ মজুদ ও পাচারের চেষ্টার বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও জোরদার করা হবে এবং ভবিষ্যতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।