রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিরাজমান দ্বন্দ্ব নিরসনে ‘মিডিয়েশন’ বা মধ্যস্থতা পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ লক্ষ্যেই বাংলাদেশ সরকার, জার্মান সরকারের সহায়তায় কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে একটি বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির আওতায় ৩২০ জন প্রশিক্ষিত মিডিয়েটর দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ও সমঝোতা রক্ষায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।
বুধবার (২৮ মে) কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত ‘পিস মিডিয়েশন এবং প্রমোশন’ শীর্ষক এক অংশীজন কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়। জার্মান উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড-এর সহায়তায় এই কর্মশালার আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ (এফআইভিডিবি)।
কক্সবাজারের শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার ও যুগ্ম সচিব শামসুদ দৌজা নয়ন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য ও গুজব ছড়ানো ঠেকানোও এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। তিনি জানান, সঠিক তথ্য উপস্থাপন ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দ্বন্দ্ব প্রশমনের পথ সুগম হচ্ছে। মিডিয়েটরদের সক্রিয়তা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের একটি কার্যকর দৃষ্টান্ত তৈরি করছে।
কর্মশালায় জানানো হয়, এই প্রকল্পে নিয়োজিত ৩২০ জন মিডিয়েটরের অর্ধেক নারী ও অর্ধেক পুরুষ। একইভাবে, অংশগ্রহণকারীদের ৫০ শতাংশ স্থানীয় ও ৫০ শতাংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীভুক্ত। উভয় সম্প্রদায়ের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, সহায়তা প্রদান এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ সাজ্জাতুন নেছা লিপি, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জ শামীম আল ইমরান, সহকারী ক্যাম্প ইনচার্জ শফিকুল বারী, জিআইজেড-এর হেড অব প্রোগ্রাম আলেকজান্ডার বেটজ ও মোবাশ্বেরুল ইসলাম সোহেলসহ সংশ্লিষ্টরা।