বগুড়ায় ঘরে ঢুকে দুই নারীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তারা সম্পর্কে দাদি শাশুড়ি ও নাতি বউ। হামলায় আহত হয়েছেন আরও এক নারী। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮টার দিকে বগুড়া পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ওই এলাকায় মৃত আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী লাইলী বেওয়া (৮৩) এবং পারভেজ ইসলামের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২১)। আর আহত তরুণী আব্দুল কুদ্দুসের অপর ছেলে বুলবুলের মেয়ে বন্যা (১৮)।
আহত বন্যার ফুফাতো ভাই মো. খোকন জানান, সৈকত নামে এক ছেলে বন্যাকে পছন্দ করে। সে প্রায়ই বিরক্ত করত। বুধবার সন্ধ্যায় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ না থাকায় সৈকতসহ আরও ৭-৮ জন ঘরে প্রবেশ করে। তখন বন্যার ভাবী হাবিবা তাদের গালিগালাজ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা প্রথমে হাবিবাকে গলায় ছুরিকাঘাত করে। এরপর লাইলী বেওয়াকেও গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। এ সময় বন্যা ছুটে এলে তার পেটেও ছুরিকাঘাত করে তারা পালিয়ে যায়।
পরে তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক লাইলী ও হাবিবাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর গুরুতর আহত অবস্থায় বন্যাকে সার্জারি বিভাগে নেওয়া হয়। তিনি এখনো সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।
বন্যার চাচা আব্দুস সালাম জানান, একটা ছেলের সঙ্গে বন্যার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্র ধরে বন্যাকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবার থেকে এই বিয়েতে আমরা কেউ রাজি ছিলাম না। এই ঘটনার জেরে হত্যাকাণ্ড হতে পারে। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা আসামি ধরতে অভিযান শুরু করেছি। তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।
