নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের হৃদপিণ্ড। এটি আমাদের জাতীয় সম্পদ। এ নিয়ে কেউ যেন প্রোপাগান্ডা না ছড়ায়। আমরা চাই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এগিয়ে যেতে, নিজেদের মধ্যে গুটিয়ে থাকতে চাই না।’
শুক্রবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দরের আন্তর্জাতিক মানের কেমিক্যাল শেড উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা ১৭-১৮ বছর এনসিটি পরিচালনা করেছেন, তারা খারাপ করেননি। তবে আরও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনার লক্ষ্যে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। চট্টগ্রাম পোর্টে এখন যে কনটেইনার লোড হচ্ছে, তা সিঙ্গাপুরে যাবে ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য। সিঙ্গাপুরে বেশিরভাগ বন্দরই প্রাইভেটলি পরিচালিত হয়। আমাদেরও দক্ষতা বাড়াতে হলে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি ও অংশীদার দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা পোর্ট তখনই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করে, যখন সেখানে আন্তর্জাতিক অপারেটর আসে। অপারেটর মানেই মালিকানা নয়। পরিচালনা থাকবে আমাদেরই। আগের অপারেটরের জায়গায় আরেকজন আসছে, efficiency বাড়ানোর জন্য। এতে ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ নেই।’
উপদেষ্টা জানান, ‘ইন্টারিম পিরিয়ডে এনসিটি ড্রাইডককে দেওয়া হয়েছে, যাদের সঙ্গে নেভিও আছে। এতে গড়ে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা বড় অগ্রগতি।’
বন্দরের ট্যারিফ বৃদ্ধি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি এককভাবে নয়, আন্তঃমন্ত্রণালয় ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেই বাড়ানো হয়েছে। ১৯৮৬ সালের পর কোনো পরিবর্তন হয়নি। অথচ তখনকার এক টাকার মূল্য এখন অনেক বেড়ে গেছে। বিশ্বের অন্যান্য মেইন পোর্টের তুলনায় এখনো চট্টগ্রামের ট্যারিফ কম, এমনকি মোংলার চেয়েও।’