
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় থ্রি-অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ডে নির্মাণাধীন বিআইডব্লিউটিসির বিভিন্ন ধরনের ১৮টি নৌযানের নির্মাণকাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের শেষ দিকে এসব নৌযান বিআইডব্লিউটিসিকে বুঝিয়ে দেওয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছে শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার নয়ানগর এলাকায় থ্রি-অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ডে নির্মাণাধীন এসব নৌযানের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
উপদেষ্টা সাখাওয়াত বলেন, ‘এই শিপইয়ার্ডে আমাদের ১৮টি নৌযানের নির্মাণ কাজ চলছে। আমি এসেছি সর্বশেষ অবস্থা পরিদর্শনে। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে নৌযানগুলো ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে তা দেরি হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, সেপ্টেম্বর থেকে সেগুলোর ডেলিভারি শুরু হবে।’
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা মেঘনা নদীতে অবৈধ বালুমহাল বন্ধ এবং বৈধ বালুমহাল কর্তৃক নিয়ম অমান্য করে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি। তবে এটি নিয়ে আপনারা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলুন।’
এক সাংবাদিকের প্রশ্নে—বাংলাদেশ যুদ্ধজাহাজের মতো সামরিক জলযান নির্মাণে কতটা সক্ষম—জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এই প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারব না।’
থ্রি-অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘শীঘ্রই আমরা নৌযানগুলো বুঝিয়ে দেওয়া শুরু করব। চলতি বছরের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে হস্তান্তর কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে ৬টি ফেরি, ২টি ফায়ার ফাইটিং টাগবোট, ২টি কোস্টাল ওয়েল ট্যাংকার, ৪টি কস্টাল সি-ট্রাক, ৩টি মডার্ন ইনল্যান্ড প্যাসেঞ্জার ভেসেল ও ১টি ইনস্পেকশন বোট হস্তান্তর করা হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. সলিম উল্লাহ, বিআইডব্লিউটিসির প্রকল্প ও প্রধান প্রকৌশলী পরিচালক জিয়াউল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. হামিদা মুস্তফা।