
কক্সবাজারে হঠাৎ এনসিপির পাঁচ শীর্ষ নেতার আগমনকে ঘিরে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। এমনকি তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠকের গুঞ্জনও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ ও শৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র বলছে বিষয়টি সত্য নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “এনসিপির নেতারা মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার আসেন। পরে ইনানীর সি পার্ল বিচ রিসোর্টের (রয়েল টিউলিপ) ৫০০১, ৫০০২ ও ৫০০৩ নম্বর কক্ষে অবস্থান নেন। এনসিপির পাঁচ নেতার মধ্যে রয়েছেন —হাসনাত আবদুল্লাহ, সার্জিস আলম, ডা. তাসমিন জারা, নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী ও খালেদ সাইফুল্লাহ। তারা ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার না করে সাধারণ যাত্রীদের গেট দিয়ে বের হয়ে যান। তবে সূত্রটি বলছে, তাদের সাথে সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন সার্জিস আলমের স্ত্রী।
এনসিপি নেতাদের বহনকারী গাড়ি চালক নুরুল আমিন জানান, তার গাড়িতে করে হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীসহ দুইজন নারী- একজন সারজিস আলমের স্ত্রী এবং অপরজন সমন্বয়ক (তাসনিম জারা) রয়েল টিউলিপে যান। তার গাড়িটি পূর্বনির্ধারিত ভাড়া করা নয়। বিমান থেকে নেমে ওই গাড়ি করে সরাসরি হোটেলে চলে যান।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, ইনানীর সি পার্ল বিচ রিসোর্টের (রয়েল টিউলিপ) এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন অবস্থান নিয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দীন শাহীন বলেন, “পাঁচ নেতা রয়েল টিউলিপে অবস্থান করছেন। তবে এখানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নেই। পুরো হোটেলে মাত্র তিনজন বিদেশি রয়েছেন, তারা সবাই চীনা নাগরিক।
অপরদিকে ইনানীর সি পার্ল বিচ রিসোর্টের (রয়েল টিউলিপ) সামনে এক প্রতিবাদ সভা করেন বিএনপি। এতে নেতৃত্ব দেন উখিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক সেলিম সিরাজী।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র থেমে নেই। যারা ভোটে ক্ষমতায় আসতে পারবে না, তারা এখানে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। খুনি শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার এক বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। সেই আনন্দের মুহূর্তে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কারণে আমাদের এখানে প্রতিবাদে আসতে হয়েছে।