ঢাকা সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রামে মাছ-মাংসের দাম উর্ধ্বমুখী

চট্টগ্রামে মাছ-মাংসের দাম উর্ধ্বমুখী

চট্টগ্রামে নিত্যপণ্যের বাজারে বেশ কিছুদিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। নিত্যপণ্যের তালিকায় থাকা মাছ, মাংস, মুরগি-ডিম সব কিছুরই দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। সবজির বাজারও এ তালিকায় যুক্ত। কোথাও যেন স্বস্তির লক্ষণ নেই। সবখানেই বাড়তি দামেই বিক্রি চলছে। তবে চালের পড়তি দাম কিছুটা হলেও নিম্ন ও মধ্যবিত্তের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার ও দুই নম্বর গেটের কর্ণফুলী কমপ্লেক্স বাজারে সরেজমিন দেখা যায়, আলু ছাড়া প্রায় সবজিই ৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।

মরিচের কেজি এখনো দেড়শ টাকার আশপাশে। মাছ-মুরগির বাজারেও স্বস্তি নেই। রুই-কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪৫০ টাকা পর্যন্ত। চিংড়ির দাম প্রকারভেদে ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। সামুদ্রিক মাছের দাম আরও চড়া। ইলিশের দামও নিম্ন ও মধ্যবিত্তের পাতে পড়ার অবস্থায় নেই; আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। মুরগির দাম আশুরার পর থেকে বেড়েছে এবং কমার কোনো লক্ষণ নেই। ব্রয়লার ১৫০-১৬০, সোনালি ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম ১৩৫-১৪০ টাকায় স্থির রয়েছে। পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও খোলাবাজারে এখনো বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে বাজারে আসা মোহাম্মদ সাইফুল জানান, সবকিছুরই দাম বাড়তি। এটা-ওটা শুধু দরদাম করি, দাম শুনে কিনতে সাহস হয় না।

এতদিন অস্থির ছিল চালের দামও। তবে ভারতীয় চালের আমদানি বাড়ায় সব ধরনের চালের দাম কমছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) দাম কমেছে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা, অর্থাৎ কেজি প্রতি ছয় টাকা কমেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ায় দেশের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে প্রচুর ভারতীয় চাল প্রবেশ করেছে। তবে পাইকারি বাজারে কম হলেও খুচরা বাজারে প্রভাব তেমন পড়েনি।

নগরীর চালের আড়ত চাক্তাইয়ের চালপট্টি ও পাহাড়তলীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে নাজিরশাইল সিদ্ধ, জিরাশাইল সিদ্ধ, মিনিকেট আতপ, মিনিকেট আতপ, কাটারিভোগ আতপ চালের দাম বস্তাপ্রতি ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

বর্তমানে জিরাশাইল সিদ্ধ ৩ হাজার ৬৫০ টাকায়, মিনিকেট সিদ্ধ ২ হাজার ৮০০ টাকা, পাইজাম সিদ্ধ ২ হাজার ৮৫০ টাকা, কাটারিভোগ সিদ্ধ (২৫ কেজি বস্তা) ১ হাজার ৮০০ টাকা, কাটারিভোগ আতপ ৩ হাজার ৮০০ টাকা, মিনিকেট আতপ ৩ হাজার টাকা, নাজিরশাইল সিদ্ধ (২৫ কেজি বস্তা) ১ হাজার ৮৫০ টাকা, দেশি নাজিরশাইল সিদ্ধ ২ হাজার টাকা, স্বর্ণা সিদ্ধ ২ হাজার ৭৫০ টাকা, বেতী আতপ ২ হাজার ৭০০ টাকা এবং মোটা সিদ্ধ ২ হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দাম উর্ধ্বমুখী,চট্টগ্রামে মাছ-মাংস
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত