চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া বলেছেন, বিশ্বব্যাপী নগর দ্রুত বাড়ছে। সেই সাথে বিভিন্ন ধরণের চ্যালেঞ্জও দেখা দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, সঠিক পরিকল্পনা থাকলে চ্যালেঞ্জকেও সুযোগে রূপান্তর করা যায়। ঘনবসতিপূর্ণ নগরেও যদি সঠিক পরিকল্পনা থাকে তাহলে তাকেও সুন্দর ও বাসযোগ্য করে তোলা যায়।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশবান্ধব নগর গঠন, দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসকরণ, নিরাপদ ও পরিকল্পিত নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন, সাশ্রয়ী আবাসন নিশ্চিতকরণ, সবুজ ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তবেই আমরা সবুজ, সুন্দর ও টেকসই নগর গড়ে তুলতে পারবো।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ (ইউআরপি)-এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস-২০২৫’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স-এর এডভাইজরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আখতার মাহমুদ, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল-এর পোর্টফোলিও ম্যানেজার আনিকা লৌফ, সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ-এর পরিচালক (হিউম্যানিটেরিয়ান) মুশতাক হোসেন, চট্টগ্রাম মাস্টার প্ল্যান প্রজেক্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ আবু ঈসা আনসারী এবং ইয়াং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা)-এর পরিচালক (সামাজিক উন্নয়ন) নাসিম বানু শ্যামলী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ফৌজিয়া গুলশানা রশীদ লোপা। এতে সঞ্চালনা করেন মুহতাসিম বিন আয়ুব ও মুসাররাত তাবাসসুম হৃদি।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের শুরুতে ইউআরপি বিভাগের শিক্ষক, পরিকল্পনাবিদ ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক আনন্দ র্যালি হয়।
পরে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন চুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া। বিকেলে একটি কারিগরি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে চুয়েটের পক্ষ থেকে ইউআরপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সজীব সরকার, সেভ দ্য চিলড্রেন-এর পক্ষ থেকে জাবেদ মিয়াঁদাদ এবং ইপসা-এর পক্ষ থেকে প্রজেক্ট ম্যানেজার সানজিদা আক্তার কারিগরি পেপার উপস্থাপন করেন।
এরপর সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য হলো পরিকল্পনাবিদ, পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ এবং শিক্ষার্থীদের একত্রিত করা, যাতে তারা তাদের জ্ঞান ও ধারণাকে আদান-প্রদান করতে পারে এবং টেকসই নগর উন্নয়নকে আরও উন্নত করার কৌশলগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারে।
এই অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি), ইয়াং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা), রয়াল সিমেন্ট এবং জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস (জিএফএফও)। এতে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল চ্যানেল ২৪, দৈনিক কালের কণ্ঠ এবং চাইউইড নিউজ ২৪।
