
চাইনিজ ভাষা শিখা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের লক্ষ্যে চীনের অর্থায়নে এবং চীনের ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট। এর মাধ্যমে চবি শিক্ষার্থীরা চাইনিজ ভাষা শিখতে পারবেন। পাশাপাশি চাইনিজরা বাংলা ভাষা শিখতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় চবি উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন ও চবি রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
এর ফলে চীনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কলাবোরেটিভ রিসার্চ, বিনা খরচে সহজেই স্কলারশিপ এবং আন্তর্জাতিক জব মার্কেটে ভালো করতে সক্ষম হবে। এছাড়া কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপারেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে নানাবিধ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারবে বলে জানান তারা।
এর আগে, গত ১৪ ও ১৫ নভেম্বরে চীনের বেইজিংয়ে বিশ্ব চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ কনফারেন্সে যোগদান করেন তারা। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চীন সরকার ও চীনের ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত চুক্তি ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পাদন করা হয়। ওই সময় চীন সরকার ও ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট (উপাচার্য) প্রফেসর ড. ওয়াং ঝিলিয়াং ও উপ-উপাচার্য শাও ওয়েসিং।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন ও চবি রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সম্প্রতি চীনের বেইজিংয়ে চীন সরকারের আমন্ত্রণে সফর করেন। সেখানে চীন সরকার, ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। এখানে চায়নিজ ভাষা ও সংস্কৃতি এবং বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি শেখানো হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চীনকে আধা একর জমি দিবে, চীন সরকারের অর্থায়নে ইনস্টিটিউটের অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী কয়েকটি শ্রেণি কক্ষে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তীতে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট অবকাঠামোগত রূপ ধারণ করলে সেখানে পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যক্রম শুরু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল-আমীন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী, আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ তালুকদার, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. গোলাম কিবরিয়া ও মেরিন সায়েন্সস ও ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহাদাত হোসেন, চবি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, চবি প্রক্টর প্রফেসর ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী, চবি ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্র পরিচালক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, চবি আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী প্রক্টর প্রফেসর মো. বজলুর রহমান ও প্রফেসর আককাছ আহমদ, চাকসুর ভিপি ইব্রাহীম হোসেন রনি, চাকসুর এজিএস আইয়ুবুর রহমান তৌফিক, যাতায়াত ও আবাসন সম্পাদক মো. ইসহাক ভূঁঞা, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান সোহান, চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জানে আলম, সাংবাদিক সমিতির নেতা ও সদস্যসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।