
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার কাটার মহল গ্রামের চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ নাহিদা সুলতানা লাবনী (২৫) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত প্রেমিক মিলন হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরকিয়া প্রেমের দ্বন্দ্বের কারণেই তাকে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ূন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আলোকিত বাংলাদেশ-কে জানান, প্রায় ৮ বছর আগে একই এলাকার ধুবিল কাটারমহল গ্রামের রিগ্যানের সাথে লাবনীর বিয়ে হয় এবং তাদের ঘরে দুটি সন্তানও জন্ম নেয়। কিন্তু এ বিয়ের আগে বড় গোজা গ্রামের মিলনের সাথে লাবনীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরও তাদের পরকিয়া প্রেম চলতে থাকে।
স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে ২৯ নভেম্বর বিকেলে লাবনী প্রেমিক মিলনকে ফোন করে ডেকে আনে। তার মেয়ে ও ভাগ্নিকে বিশেষ কৌশলে বাজারে পাঠানো হয়। এরপর উভয়ে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়।
এ সময় মিলনের মোবাইলে ফোন এলে সে বাড়ি যেতে চায়, কিন্তু লাবনী তাকে যেতে বাধা দেয়। এ নিয়ে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে।
পরকিয়া নিয়ে সৃষ্ট এ দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে মিলন লাবনীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে ঘরে লাশ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় লাবনীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
মামলার বিশেষ তদন্তে নেমে রোববার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে মিলনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে লাবনীর চার ভরি সোনার গহনাও উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর মিলন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের রহস্য দ্রুত উদঘাটন করায় এলাকায় পুলিশ প্রশংসিত হয়েছে।