
মুন্সীগঞ্জে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সৈয়দা নুর মহল আশরাফী।
কর্মশালায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক (উপসচিব) অমিতাভ মন্ডলের উপস্থাপনায় নিরাপদ খাদ্য কী, কেন খাদ্য অনিরাপদ হয়, খাদ্য নিরাপদ রাখার উপায়, ভেজাল ও দূষণের বিজ্ঞানসম্মত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় সাংবাদিক, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাকিয়া আফরোজ বলেন, আমরা সকলেই ভোক্তা, সুতরাং আমাদের সকলেরই সচেতন থাকা জরুরি। ভোক্তা হিসেবে অনিরাপদ ও ভেজাল খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। নিজের পরিবার থেকে শুদ্ধতা শুরু করতে হবে।
তিনি বলেন, “ভেজাল খাব না, কাউকে খাওয়াব না”—এই নীতিতে সবসময় চলতে হবে। সকলের জায়গা থেকে নিরাপদ খাদ্যের জন্য কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব আ.ন.ম নাজিম উদ্দীন বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে আমাদের নিজেদের আগে সচেতন হতে হবে। ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলতে হবে। সবার আগে আত্মশুদ্ধি জরুরি। ব্যবসায়ীদের প্রতারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ‘নিজের জন্য যেটা ভালো, সেটাই সবার জন্য ভালো’—এই বিষয়টি মনে রাখতে হবে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাকিয়া আফরোজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব আ.ন.ম নাজিম উদ্দীন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছাব্বেরুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী হুমায়ুন রশিদ, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. দেবরাজ মালাকার, মুন্সীগঞ্জ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা নুরে আলম সোহাগ, মুন্সীগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ, শিক্ষক প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।