ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পাথরঘাটায় লোকসানের ঝুঁকি নিয়েই আলু চাষ করছেন চাষিরা

পাথরঘাটায় লোকসানের ঝুঁকি নিয়েই আলু চাষ করছেন চাষিরা

লোকসানের আশঙ্কা উপেক্ষা করেই আলু উৎপাদনে ঝুঁকছেন বরগুনার পাথরঘাটার কৃষকরা। তবে কীটনাশক ও সারের অতিরিক্ত মূল্য, সেচ সংকট এবং হিমাগারের অভাবে উৎপাদন ও সংরক্ষণ—সব ক্ষেত্রেই চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।

কৃষকদের অভিযোগ, মৌসুমে কীটনাশক ও সারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলেও ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়ছেন চাষিরা।

বরগুনা জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৯৪৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলু উৎপাদন হয় পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের রূপধন এলাকায়।

ওই এলাকার কৃষক আব্দুর রহিম, সিকান্দার, সিরাজ মিয়া ও জগদীশ বাবু অভিযোগ করে বলেন, “আলুর মৌসুমে সার ও কীটনাশকের চাহিদা বেশি থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেয়। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ বহুগুণ বেড়ে যায়।”

একই এলাকার আরেক কৃষক স্বপন সাহা জানান, “শুকনা মৌসুমে ব্যাপক আলু চাষ হলেও সেচের জন্য পর্যাপ্ত পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। দূরবর্তী এলাকা থেকে পাইপ ও মেশিনের মাধ্যমে পানি আনতে হয়, এতে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে।”

কৃষকদের আরও অভিযোগ, এলাকায় হিমাগার না থাকায় বীজ আলু উৎপাদন ও উৎপাদিত আলু সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সংরক্ষণের অভাবে অনেক সময় কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হন তারা। ন্যায্য দাম না পেলে অনেক আলু অবিক্রীত থেকে পচে যায়।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শুভ্র দাস বলেন, “ন্যায্য মূল্যে সার ও কীটনাশক বিক্রি নিশ্চিত করতে সহকারী ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত বাজার তদারকি করছেন। কোনো ব্যবসায়ী অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও জানান, “পাথরঘাটার ফসলি জমি আলু চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। কৃষকদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, চলতি মৌসুমে গত বছরের তুলনায় আলুর উৎপাদন আরও বাড়বে।”

আলু চাষ,লোকসানের ঝুঁকি নিয়ে,পাথরঘাটা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত