ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা

হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা

চব্বিশের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজ (বুধবার) সাক্ষ্য দেবেন এই মামলার বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর জোহা।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিচরপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইবুনাল-১ থেকে এই সাক্ষ্যগ্রহণ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন। প্রসিকিউটর তানভীর জোহা এই মামলার ৫২ তম সাক্ষী।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের কর্মরত সাহেদ জুবায়ের লরেন্সের। জব্দ করা অডিও ক্লিপে শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনুর কণ্ঠের সত্যতা নিশ্চিত করেন তিনি।

পরে আরেক সাক্ষী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়্যারলেস অপারেটর কামরুল হাসান বলেন, গত বছর ১৭ জুলাই ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান আন্দোলন দমনে ডিএমপি অধিভুক্ত সব পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ ও গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় গত ৩ আগস্ট। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের জবানবন্দি ও জেরা হয়।

গতকাল সোমবার মোহাম্মদপুরে শহীদ সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তীর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ঘটনার প্রত্যক্ষীদর্শীর সাক্ষ্য গ্রহণ। এখন পর্যন্ত মোট ৪৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল।

এর মধ্যে, গত ২ সেপ্টেম্বর ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন এ মামলার আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তার জেরা শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালানো হয়েছে জানিয়ে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। একই সঙ্গে অজানা অনেক তথ্য ট্রাইব্যুনালের সামনে এনেছেন সাবেক এই পুলিশ প্রধান।

সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। আর এসবের জন্য দায়ী করে শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ উত্থাপন করেছে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রটি মোট ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে ২,০১৮ পৃষ্ঠা তথ্যসূত্র, ৪,০০৫ পৃষ্ঠা জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি এবং ২,৭২৪ পৃষ্ঠা শহীদদের তালিকার বিবরণ রয়েছে। এ মামলায় সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন মোট ৮১ জন। গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা চূড়ান্ত প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের দপ্তরে জমা দেয়।

জুলাই-আগস্ট গণহত্যা,মামলা,শেখ হাসিনা,সাক্ষ্য
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত