অনলাইন সংস্করণ
১৭:৩২, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫
সেনা সদর দপ্তর আইন প্রয়োগ না করা পর্যন্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক ৩ মামলার আসামি ২৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন এখনো কর্মরত বলে বিবেচিত হবেন বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর প্রসিকিউটর গাজি মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।
রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমনটা জানান।
একজন সাংবাদিক প্রসিকিউটর তামীমকে প্রশ্ন করেন, সংশোধিত আইন অনুযায়ী, ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে সেনা কর্মকর্তাদের চাকরি থাকার কথা নয়। কিন্তু আপনি সেনা কর্মকর্তাদের সার্ভিং বলছেন। তাহলে তাদের চাকরিচ্যুত নাকি কর্মরত, কোনটি বলা হবে?
জবাবে তিনি বলেন, আইনে যেমনটা বলা আছে, সেটিই আইনের ব্যাখ্যা। তবে সেনা সদর দপ্তর এখন সিদ্ধান্ত নেবে যে, কবে থেকে এসব সেনা কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এই আইন প্রয়োগ করা হবে। তবে যতক্ষণ আইন প্রয়োগ না করা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তো তাদের সার্ভিং (কর্মরত) বলাই যেতে পারে।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম-নির্যাতন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার ঘটনায় পৃথক তিন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা এখনো কর্মরত। এছাড়া ৯ জন অবসরে ও একজন এলপিআরে (অবসরোত্তর ছুটিতে) আছেন।
ব্রিফিংয়ে সেনা সদস্যদের ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন পরিবর্তনের আবেদনের কথা উল্লেখ করে প্রসিকিউটর তামীম বলেন, গুম-নির্যাতনের দুই মামলার পরবর্তী তারিখ ছিল আগামী ২০ নভেম্বর। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে রোববার এ মামলার তারিখ পরিবর্তনের জন্য একটি আবেদন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৩ নভেম্বর এ দুই মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
প্রসিকিউশনের নিজস্ব জটিলতার (ডিফিকাল্টি) কারণে এই সময়ের আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।