
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মিছিলের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ‘সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রে ক্ষতিসাধন ও রাষ্ট্রবিরোধী কবর্মকান্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে সিরাজদিখান থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই )নাহিদ মাসুদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ ঘটনায় বুধবার অভিযান চালিয়ে জড়িত ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— বাসাইল ইউপির যুবলীগ সদস্য মো. মন্টু ভূইয়া (৩০) ছাত্রলীগ সদস্য, মো. নাইম শেখ উজ্জল (২২), মো. হায়দার শেখ, রহিম শেখ (২৪), মো. মকবুল হোসেন (৫৪), কেয়াইন ইউনিয়নের শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ শেখ (৪৯), রোশনিয়া ইউপির শ্রমিক লীগের সভাপতি বাচ্চু সরকার (৪৮), মো. আলমগীর হোসেন (৫০), মো. হালিম বেপারী (৩৮), মো. সজিব মোল্লা (৩৬)।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সিরাজদিখান উপজেলার যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম লিটুর নেতৃত্বে শেখ হাসিনার রায়ের প্রতিবাদে প্রকাশ্যে পুলিশের টহলদলের সামনে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ইমামগঞ্জ বাজারে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ ঘটনায় টহলের দায়িত্বে থাকা সিরাজদিখান থানার উপ-পরিদর্শক মো.কামরুজ্জামান সিকদারসহ দুই কনস্টেবল বাদশা মিয়া ও সফিকুলকে প্রত্যাহার করা হয়।
সিরাজদিখান থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মঙ্গলবার সকালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীসহ দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা নিয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন শ্লোগানসহ মিছিল করছে। এ ঘটনায় ৪৫ জন নামীয় অজ্ঞাত আরো ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে জড়িত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। দায়িত্ব অবহেলার কারণে একজন এসআইসহ দুই কনস্টেবলকে ক্লোজ করা হয়েছে।