অনলাইন সংস্করণ
১৪:৫২, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে নিত্যপণ্যের দামের বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়নি। এর মধ্যে নতুন পেঁয়াজ ও আলুর দাম সামান্য কমেছে। মুরগি ও ডিমের বাজারও আগের মতোই নিম্নমুখী রয়েছে। তবে পুরোনো পেঁয়াজের দামের অস্থিরতা এখনো কাটেনি।
বিক্রেতারা জানান, নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ এখনও যথাযথভাবে না বাড়ায় এই অস্থিরতা কমছে না। পুরোনো পেঁয়াজ কিনতে গেলে এখনও প্রতি কেজি গুণতে হচ্ছে দেড়শ টাকা পর্যন্ত।
নতুন পেঁয়াজ স্থানীয়ভাবে ঢাকার বাজারে ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহ ব্যবধানে এ ধরনের পেঁয়াজের দাম প্রায় ১০ টাকা কমেছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রামপুরার খিলগাঁও ও তালতলা সহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ যথাযথভাবে বৃদ্ধি পায়নি। বেশিরভাগ দোকানেই এখনও পুরোনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। যেসব দোকানে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সেগুলোর মান ও দামের ভিন্নতা লক্ষ্য করা গেছে।
খিলগাঁও তালতলা বাজারে নতুন পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, অন্যদিকে রামপুরার কয়েকটি মুদি দোকানে একই পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একজন দোকানি বলেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজ মূলত কাঁচামালের ওপর নির্ভরশীল, আমদানি সরবরাহের কারণে দাম ওঠা-নামা হয়। যেসব পেঁয়াজের আকার বড়, সেগুলোর দামও বেশি। সরবরাহ বাড়লেই দাম আরও কমবে।
আলুর বাজারেও নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। প্রতি কেজি নতুন আলু এখন ৩০-৩৫ টাকায় মিলছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫-৪০ টাকা। পুরোনো আলুর দাম আগের মতো ২০-২৫ টাকা কেজি। শীতকালীন সবজির দামও কমেছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম নেমে এসেছে ৩০-৩৫ টাকায়। প্রতি কেজি বেগুন পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়, যেখানে লম্বা জাতের বেগুনের দাম কম এবং গোলাকৃতির বেগুন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শিমের দামও জাতভেদে ভিন্নতা সহ কম-বেশি দেখা গেছে। সাধারণ সবুজ শিম ৪০-৫০ টাকায়, রঙিন শিম ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিম ও মুরগির বাজারও কয়েক সপ্তাহ ধরে নিম্নমুখী। ব্রয়লার মুরগির ডিম বাজারভেদে ১১০-১২০ টাকা ডজন হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়।
বিক্রেতারা জানান, দাম কমে যাওয়ায় খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে, ফলে সরবরাহ চেইনেও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।