নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহীর দেওয়া মন্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ ও ‘অপবাদ’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব।
তিনি বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা তো দূরের কথা, একটি পয়সাও আমাদের তরফ থেকে দুর্নীতি হয়নি। তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যাবাদী ও অপবাদকারী।’
সম্প্রতি সুলতান আহমেদ রাহী এক বক্তব্যে অভিযোগ করেন, ‘উপাচার্য শিক্ষার্থীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করে নিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।’ এ বক্তব্য সংবলিত একটি ফটোকার্ডও তিনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন।
রাহীর এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দীন খান। তিনি রাহীর পোস্টের স্ক্রিনশটসহ একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “রাবির একজন সাবেক ছাত্রের কাছ থেকে এমন মিথ্যা ও মনগড়া মন্তব্য অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ও অসম্মানজনক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত তার কাছে এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চাওয়া।”
এ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদও।
তিনি বলেন, ‘প্রাক্তন একজন শিক্ষার্থীর উচিত তার প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা রক্ষা করা। এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ শুধু গর্হিতই নয়, মানহানিকরও। প্রমাণ ছাড়া এমন অভিযোগ দিলে তার দায়ও নিতে হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, “আমি তো আদালত না যে প্রমাণ দেব। সাংবাদিকদের প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা এসব অনিয়ম সম্পর্কে জেনেছি। আমি চাইলে আমার বক্তব্যের ব্যাখ্যা প্রশাসন চাইতে পারে—আমি প্রস্তুত আছি।”
তিনি আরও দাবি করেন, ‘জাসদ ছাত্রলীগের নেতা, আওয়ামী লীগ সভাপতির জামাই, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রী—এদের নিয়োগের বিষয়টি আমরা সংবাদে দেখেছি। ইন্টারমিডিয়েট পাশ ব্যক্তিকে নবম গ্রেডে চাকরি দেওয়ার বিষয়টিও নজরে এসেছে। টেন্ডার বাণিজ্যের নানা অনিয়ম সম্পর্কেও আমাদের কাছে তথ্য আছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, এ ধরনের মন্তব্য ভীতিকর এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার শামিল। তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
