
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট-এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন-২০২৫ এর মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে মনোনয়ন পত্র বিতরণের কার্যক্রম শুরু করে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে ৩দিনের জন্য কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পোষ্য কোটা পুনর্বহালসহ প্রাতিষ্ঠানিক সব বৈষম্য দূর করার দাবিতে ৪ দিন ধরে এ কর্মবিরতি পালন করেছেন তারা। এদিন দুপুরে তারা অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে ফেরার ঘোষণা দেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পিএসসিতে নিয়োগ, ছাত্রদলের ‘যৌক্তিক সময়’ দাবি, মনোনয়নপত্র বিতরণের দিনগুলোয় পোষ্য কোটার দাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিনব্যাপী ধর্মঘটসহ নানা কারণে রাকসুর নির্বাচন একধরণের শঙ্কায় পড়েছিল। রাকসুর নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ ও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি স্থগিত করায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ।
রোববার সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয় মনোনয়ন বিতরণ। চলবে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় সংসদের মনোনয়নপত্র দেওয়া হচ্ছে রাকসু কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে এবং হল সংসদের মনোনয়ন পত্র প্রার্থীরা নিজ নিজ হল থেকে সংগ্রহ করতে পারছেন। ফরমের মূল্য রাখা হয়েছে ৩০০ টাকা এবং হল সংসদে ২০০ টাকা। আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বাছাই করা হবে। ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
রাকসুর প্রথম মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সজিবুর রহমান। তিনি স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী এবং প্রথম নারী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিয়েছেন বাংলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মোছা. নিশা আক্তার। তিনি স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনয়ন নিয়েছেন।
মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে সজিবুর রহমান বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের শক্তি নিয়ে, সাহস নিয়ে লেজুড়বৃত্তিক, দল, গোষ্ঠীর বাইরে গিয়ে মনোনয়ন নিয়েছি। আমি শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে চাই।
এসময় অফিসার সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কিছু সময় চেয়েছেন। সামগ্রিকভাবে সকল কিছু বিবেচনা করে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার আদায়ের স্বার্থে আমাদের প্রণীত কর্মসূচি ৩দিনের জন্য স্থগিত ঘোষণা করছি। যদি দ্রুত সময়ে প্রশাসন আমাদের দাবি না মানেন তাহলে আগামীতে আমরা লাগাতার কর্মসূচি গ্রহণ করব। এবং পানি, বিদ্যুৎ, পরীক্ষা সকল কিছু আমরা বন্ধ করে দিব।
রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ নজরুল ইসলাম বলেন, রাকসু নির্বাচনের মূল স্টেকহোল্ডার আমাদের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো পর আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবো। আমরা আশাবাদী প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার আন্দোলনের কারণে রাকসুর সিডিউলের পরিবর্তন হবে না। নির্বাচনী আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরেই অনুষ্ঠিত হবে।