অনলাইন সংস্করণ
১৫:৫০, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। সকাল ১০টায় দেশের সব সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে একযোগে ফল প্রকাশ করা হবে। আর প্রকাশিত ফল শিক্ষার্থীদের তিনভাবে জানানোর ব্যবস্থা করেছে সরকার।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল সকাল ১০টায় প্রকাশ করা হবে।
প্রকাশিত ফলাফল শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে তিনটি পদ্ধতিতে—অনলাইন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এসএমএসের মাধ্যমে।
অনলাইনে জানতে হলে শিক্ষার্থীদের যেতে হবে www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে। সেখান থেকে বোর্ড, রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফলাফল দেখা যাবে।
অন্যদিকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কেন্দ্র থেকেও ফল জানা যাবে। প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফলাফল সেখানে পাঠানো হবে।
তৃতীয় পদ্ধতি হলো এসএমএস। এর জন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে নির্ধারিত শর্ট কোড 16222–এ বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর, রোল ও বছর লিখে এসএমএস পাঠাতে হবে শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা পত্রিকা অফিসে সশরীরে গিয়ে কোনো ফলাফল পাওয়া যাবে না।
ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষ্যে একই দিন সকাল ১০টায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এইচএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন পদ্ধতি
ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীরা অনলাইনে https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। আবেদন গ্রহণ করা হবে ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত।
শিক্ষা বোর্ড বা অন্য কোনো অফিসে সরাসরি আবেদন করা যাবে না। আবেদনের পদ্ধতি শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২৬ জুন এবং শেষ হয় ১৯ আগস্ট। এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেন। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। সারা দেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে, প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে এখন সোয়া ১২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী ফলাফলের অপেক্ষায় আছেন।
