
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল ও অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। জুলাই অভ্যুত্থানে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগিতার অভিযোগে তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করে বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘শিক্ষক ছাড়া ক্লাসে বসব না', ক্লাসের শিক্ষক ক্লাসে চাই', 'যে শেখায় ন্যায়, তার সাথেই অন্যায়', 'যে শিক্ষক আলো দেয়, তাকে কেন অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছেন’সহ বিভিন্ন স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আইন বিভাগ দীর্ঘদিনের সেশনজট কাটিয়ে গতিশীলতার প্রধান ভূমিকা ছিল এই দুই শিক্ষকের। তারা কখনোই জুলাই বিরোধী ছিলেন না বরং জুলাই চলাকালীন সময়ে জেলে থাকা শিক্ষার্থীদের ছাড়ানোর জন্য সাহায্য করতেন। আমরা রাজনৈতিকভাবে চিন্তা করছি না, একাডেমিক এক্সিল্যান্সি নিয়ে কথা বলছি। যদি বহিষ্কার করতে হয় তাহলে বিভাগে শিক্ষকের ব্যবস্থা বা বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে।’
পরে বিভাগের ৯৩ জন শিক্ষার্থী স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি উপাচার্য বরাবর জমা দেন তারা। উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান এবং ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা বলেন, উপাচার্য জরুরি একটি প্রোগ্রামে ঢাকায় থাকার কারণে তার পক্ষে আমরা স্মারকলিপিটা গ্রহণ করেছি। স্যার আসলে স্মারকলিপিটি তার কাছে পৌঁছে দেব। বিধি মোতাবেক তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই আন্দোলনের বিরোধী অবস্থান নেওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১৯ শিক্ষক ও ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ৩৩ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ২৭১তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।