
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আয়োজনে ‘ছালেমা–দীপালি মেধাবৃত্তি–২০২৫’ প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনে তারুণ্যের সাধনা সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তির অর্থ ও সনদ তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, “মেধাবৃত্তি একটি শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতি তৈরি করে। ব্যক্তি হিসেবে অনেকেই কিছু উদ্যোগ নেন, কিন্তু সেগুলোকে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রূপ দিতে পারলে শিক্ষার্থীদের উপকার বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন উৎস থেকে বৃত্তি পাওয়া যায়— শিক্ষার্থীরা সচেতন হলে এসব সুযোগ সহজেই গ্রহণ করতে পারবে। মেধার সঠিক মূল্যায়ন প্রতিযোগিতা সৃষ্টির মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মাহবুব হোসেন (মাহবুব বোরহান) এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. হাবিব-উল-মাওলা (মাওলা প্রিন্স)। সঞ্চালনা করেন বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুন ফেরদৌসী রোমা।
উল্লেখ্য, প্রফেসর ড. মো. হাবিব-উল-মাওলা (মাওলা প্রিন্স)-এর ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও অর্থায়নে এ মেধাবৃত্তি প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্নাতক সম্মান চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থী প্রতিবছর ১০ হাজার টাকা ও সনদ পাবেন।
এ বছর বৃত্তি পেয়েছেন ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শ্যামলী জাহান মুক্তা, যিনি স্নাতক সম্মান চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।
বৃত্তি প্রদান শেষে পরিবেশিত হয় একক সুরসংবেদ। এতে অংশ নেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন ও চ্যানেল আইয়ের তালিকাভুক্ত শিল্পী আরমিন জামান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।