
গান যারা বুঝেন এবং গানের যারা সমঝদার শ্রোতা তারা জানেন এই প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যে অনন্যা আচার্য্য কতটা প্রতিভাবান এবং কতো গুণী একজন শিল্পী। তার মিষ্টি সুরেলা কণ্ঠ যারা একবার শুনেছেন তারা তার গান আবারও শোনার বাহানা খুঁজেন। ‘ক্ষুদে গানরাজ’ খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী অনন্যা আচার্য্যরে এবারই প্রথম সুযোগ হলো গানে গানে উপমহাদেশের প্রখ্যাত নায়িকা ববিতাকে শ্রদ্ধা জানানোর। শুধু তাই নয় কানাডাতে বসে এই আয়োজন উপভোগ করেছেন ববিতা নিজেও। অনন্যার কণ্ঠে গান শুনে মুগ্ধ ববিতা। কদিন আগেই ছিল ববিতার জন্মদিন। জন্মদিন উপলক্ষে চ্যানেল আই দিনব্যাপী ববিতাকে নিয়ে বিশেষ আয়োজন করে। যারমধ্যে সকালেই ছিল ‘গান দিয়ে শুরু’ অনুষ্ঠান। যে অনুষ্ঠানে ববিতা অভিনীত সিনেমার বিভিন্ন জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন। সেখানে অনন্যা আচার্য্যও সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
অনন্যা জানান, ববিতার জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানিয়ে তিনি একে একে পরিবেশন করেন ‘এই পৃথিবীর পরে’, ‘আমি আছি থাকবো’, ‘চুল ধইরোনা খোঁপা খুলে’ ও ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িত গেলাম দেখা পাইলাম না’ গানগুলো। ববিতা বলেন, ‘অনন্যার কণ্ঠের গানগুলো খুউব ভালোলেগেছে আমার কাছে। আমি চ্যানেল আইয়ের প্রতি সবসময়ই কৃতজ্ঞ। কারণ তারা সবসময়ই আমার জন্মদিনে বিশেষ আয়োজন করে থাকে। দিনব্যাপী গানের অনুষ্ঠান, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, সিনেমাসহ আরও নানান কিছু প্রচার করে থাকে। ধন্যবাদ জানাই চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে। আর অনন্যার জন্য অনেক দোয়া রইলো। মেয়েটির কণ্ঠ বেশ মিষ্টি।’ অনন্যা আচার্য্য বলেন, ‘ঈশ্বরের কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা যে তিনি আমাকে সুরে সুরে গানে গানে মানুষকে মুগ্ধ করার মতো করে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আমি সেই ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করছি শুদ্ধ সুরে গাইবার। এই চেষ্টা আমার এখনও অব্যাহত আছে। আর শ্রদ্ধেয় ববিতা ম্যাডামের জন্মদিনে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে গান গাইবার যে সুযোগ আমাকে দেওয়া হলো তা আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গেই মনে থাকবে আমার। জীবনে এমন সুযোগ সবসময় আসে না, সবার ক্ষেত্রেও আসেনা। তার অভিনীত সিনেমার গানগুলো গাইতে পেরে ভীষণ ভালোলাগলো আমার। আমি কৃতজ্ঞ চ্যানেল আই পরিবারের কাছে।’
উল্লেখ্য, অনন্যা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগ থেকে কিছুদিন আগে অনার্স সম্পন্ন করেছেন। এখন তিনি মাস্টার্স করছেন একই বিভাগ থেকে। ২০০৮ সালে ক্ষুদে গানরাজ’-এ অংশগ্রহণ করে তিনি ১৬তম হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে একই প্রতিযোগিতায় তিনি শীর্ষ দশে ছিলেন। মা কণা আচার্য্যর কাছেই তার প্রথম গানে হাতেখড়ি। এরপর তিনি একে একে শীতল ঘোষাল, আলী এফএম রেজওয়ান, ওস্তাদ সঞ্জীব দে, ফেরদৌস আরা, মঈনুল ইসলাম খান, কনকচাঁপা, গাজী আব্দুল হাকিম, ফরিদা পারভীন, প্রিয়াঙ্কা গোপ, শঙ্কর আচার্য্য, অলকা দাশ, অনীল কুমার সাহা, অসিত দে ও পণ্ডিত অজয় চক্রবর্ত্তীসহ আরও বেশ কয়েকজনের কাছে গানে তালিম নিয়েছেন।