অনলাইন সংস্করণ
১২:৫৮, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫
বলিউডের সফল তারকা অক্ষয় কুমারের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে এক কঠিন সময় অতিবাহিত করতে হয়েছিল। একের পর এক সিনেমা ফ্লপ করায় সেই সময় অক্ষয়কে ইন্ডাস্ট্রির বড় প্রযোজক-পরিচালকেরা প্রকাশ্যেই ‘জঞ্জাল’ বলে উপহাস করতেন। সম্প্রতি পরিচালক সুনীল দর্শন এক সাক্ষাৎকারে সেই সময়কার অজানা কাহিনি তুলে ধরে জানান, অপমান সহ্য করতে না পেরে একবার প্রকাশ্যেই ভেঙে পড়েছিলেন অক্ষয়।
সুনীল দর্শনের ভাষায়, ১৯৯৯ সালের ছবি ‘জানোয়ার’-এর শুটিং চলাকালীন অক্ষয়ের জন্য সময়টা ছিল ভয়াবহ। প্রত্যাখ্যান, অবহেলা আর কটূক্তিতে চারদিক থেকেই আঘাত পাচ্ছিলেন তিনি। পরিচালক বলেন, “আজ যারা ইন্ডাস্ট্রির বড় নাম, সেই প্রযোজক-পরিচালকরাই বলতেন— অক্ষয় মানেই জঞ্জাল!”
এ পরিস্থিতির মাঝেই থমকে যায় অক্ষয়ের জনপ্রিয় ছবি ‘ধাড়কন’-এর কাজ, পিছিয়ে যায় ‘হেরা ফেরি’র শুটিংও। যদিও সুনীল দর্শন কারো নাম প্রকাশ করেননি, তবে তিনি জানান, এক পর্যায়ে প্রচারণা না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ে অক্ষয় কাঁদতে কাঁদতে তার অফিসে এসেছিলেন। নিজের নতুন ছবির একটি পোস্টারও শহরে না দেখে প্রযোজকের কাছে জানতে চাইলে উল্টো রূঢ় আচরণ ও কটু কথা শুনতে হয় তাকে।
এই মানসিক ভেঙে পড়া অবস্থায় অক্ষয়কে পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন সুনীল দর্শন। ঝুঁকি নিয়েই তিনি তখন মুম্বাইয়ের অন্যতম ব্যয়বহুল স্থান জুহু সার্কেলে ‘জানোয়ার’ ছবির বিশাল বিলবোর্ড টাঙানোর ব্যবস্থা করেন, যেখানে একমাত্র অক্ষয়ের ছবিই রাখা হয়েছিল।
অক্ষয়ের সেই দুর্দিনের গল্প আজ বলিউডের অনুপ্রেরণাদায়ক অংশ— যেখানে অপমান ও প্রত্যাখ্যানের মাঝেও এক শিল্পীর উঠে দাঁড়ানোর জেদই তাকে আজকের অক্ষয় কুমার বানিয়েছে।