অনলাইন সংস্করণ
১৮:২৪, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫
কোষ্ঠকাঠিন্য একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। এই রোগে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ ভুগছেন। পেট পরিষ্কার না হলে তা চরম অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে পেট ফাঁপা, ভারী হওয়া এবং মাথাব্যথা হতে পারে। সাধারণত খাদ্যাভ্যাসের সম্পূর্ণ পরিবর্তন কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে, ফাইবার বৃদ্ধি করে এবং প্রচুর পানি পান করে এই সমস্যা দূরে রাখা যেতে পারে। এছাড়া কিছু প্রাকৃতিক পানীয় কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু পানীয় সম্পর্কে-
উষ্ণ ভেষজ চা : উষ্ণ ভেষজ চা অন্ত্রের পেশীকে শিথিল করতে সাহায্য করে, গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। বয়স্ক অংশগ্রহণকারীদের ওপর করা ২০২২ সালের একটি গবেষণা গবেষণায় দেখা গেছে যে, মৌরি এবং গোলাপ চা পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য পলিথিলিন গ্লাইকল ল্যাক্সেটিভ চিকিৎসার মতোই সুবিধা পাওয়া গেছে। ভেষজের রেচক বৈশিষ্ট্য স্বল্পমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য উপশমের জন্য উপযুক্ত করে তোলে। ভেষজ চা খাওয়ার ফলে তরল গ্রহণ আরও ভালো হয়, যা নরম মল তৈরিতে সহায়তা করে। তবে এ ধরনের চা দীর্ঘ সময় পান করার আগে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
ম্যাগনেসিয়ামসমৃদ্ধ খনিজ পানি : ম্যাগনেসিয়ামসমৃদ্ধ খনিজ পানির প্রাকৃতিক অসমোটিক বৈশিষ্ট্য অন্ত্রের পানিকে আকর্ষণ করে নরম মল তৈরি করে, যার ফলে মলত্যাগ করা সহজ হয়। ছয় সপ্তাহ ধরে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট এবং সোডিয়াম সালফেট সমৃদ্ধ পানি গ্রহণকারী কার্যকরী কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত অংশগ্রহণকারীদের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, তারা সাধারণ পানি গ্রহণকারী অংশগ্রহণকারীদের তুলনায় স্বতঃস্ফূর্ত মলত্যাগ এবং মলের ধারাবাহিকতায় ভালো ফল দেখিয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের হজম স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়েছে। কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ম্যাগনেসিয়াম সম্পূরক গ্রহণের আগে তাদের ডাক্তারের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া উচিত।
ফাইবারযুক্ত পানীয় : আপেল এবং নাশপাতির মতো অন্যান্য পেকটিনসমৃদ্ধ ফলের সঙ্গে আলুবোখারার রস পান করলে মল নরম হয় এবং অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া সুস্থ থাকে। অন্ত্রে দ্রবণীয় ফাইবার পেকটিন জেলের মতো পদার্থ তৈরি করে যা মলের ভিতরে পানি ধরে রাখে, অন্যদিকে আলুবোখারা এবং কিছু নাশপাতিতে থাকা সরবিটল মৃদু রেচক হিসেবে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে কিউই, আলুবোখারা এবং নির্দিষ্ট উচ্চণ্ডআঁশযুক্ত ফলসহ প্রতিদিন ফল খাওয়ার ফলে মলের গুণমান এবং চলাচল উন্নত হয়। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকা সহজ হয়।