অনলাইন সংস্করণ
১৮:১৭, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানে একটি সামরিক পরিবহন বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সব ক্রু নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দেশটির সামরিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, পূর্বাঞ্চলীয় বন্দরনগরী পোর্ট সুদানে অবস্থিত ওসমান দিগনা বিমানঘাঁটিতে অবতরণের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রুশ নির্মিত ইলিউশিন ইল-৭৬ বিমানটি অবতরণের সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়।
বিমানে থাকা সকল ক্রু নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও বিমানে কতজন ছিলেন তা এখনো সুদানের সরকারি বাহিনী (এসএএফ) আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। এর আগে চলতি বছরের মে মাসে একই এয়ারবেসে ড্রোন হামলার কারণে বেশ কয়েকটি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
বিমান দুর্ঘটনার পর দেশব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলে এসএএফের টানা পরাজয়ের খবর আসতে শুরু করেছে। সোমবার বিদ্রোহী আরএসএফ সুদানের সর্ববৃহৎ হেগলিগ তেলক্ষেত্র দখল করে। পশ্চিম কর্দোফান প্রদেশে অবস্থিত এই স্থাপনা প্রতিদিন ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল প্রক্রিয়াকরণ করে, যা সুদান ও দক্ষিণ সুদানের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুদান ট্রিবিউনের তথ্য অনুযায়ী, সেনাবাহিনী সংঘর্ষের চাপে হেগলিগ থেকে পিছু হটে। একই সঙ্গে বাবনুসা এলাকা থেকেও এসএএফ সরে যাচ্ছে বলে সামরিক সূত্র জানিয়েছে। হেগলিগ হারানো সরকারি বাহিনীর জন্য অর্থনীতি ও জ্বালানিখাতে মারাত্মক ধাক্কা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
সাবেক সরকারি উপদেষ্টা আহমেদ ইব্রাহিম আল জাজিরা জানিয়েছেন, আরএএফ ইচ্ছাকৃতভাবে এমন হামলা চালাচ্ছে যাতে দক্ষিণ সুদানকে যুদ্ধের পথে ঠেলে দেওয়া যায়, যদিও দেশটিতে এখনো নাজুক এক যুদ্ধবিরতি কার্যকর আছে।
বিমান দুর্ঘটনার একই দিনে চার কলম্বিয়ান নাগরিক এবং চারটি কোম্পানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা আরএসএফের হয়ে লড়াইয়ের জন্য শত শত সাবেক সেনা নিয়োগ করেছে। তবে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল না সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক গ্লোবাল সিকিউরিটি সার্ভিসেস গ্রুপ, যাকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্য সেন্ট্রি গত নভেম্বরে আরএসএফের জন্য কলম্বিয়ান ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। আমিরাত পক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
