কুরবানি ঈদের সময় অতিরিক্ত গোশত খাওয়ার ফলে পেটে অস্বস্তি, গ্যাস্ট্রিক, হজমে সমস্যা, ওজন বৃদ্ধি বা হাই কোলেস্টেরলের মতো সমস্যায় ভোগা স্বাভাবিক। তাই ঈদের আনন্দে শরীর সুস্থ রাখতে কিছু নিয়ম মানা জরুরি। এখানে কুরবানি ঈদের জন্য প্রয়োজনীয় ১০টি উপায় তুলে ধরা হলো:
কুরবানির ঈদে পেট ভালো রাখতে ১০টি স্বাস্থ্যকর উপায়
১. মোডারেশনে গোশত খান একবারে অনেক বেশি মাংস খাবেন না। দিনে এক বা দুইবার নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়া নিরাপদ। বেশি খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
২. মাংসের সঙ্গে আঁশযুক্ত খাবার রাখুন গোশতের সঙ্গে সালাদ, সবজি, ডাল ইত্যাদি রাখলে হজম ভালো হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমে।
৩. খাবার পর পানি নয়, আগে খান খাবারের সঙ্গে বা পরপর পানি না খেয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে পানি পান করুন। এতে হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকে।
৪. লেবু বা টকদই ব্যবহার করুন মাংসের খাবারের সঙ্গে লেবু বা টকদই রাখলে হজম ভালো হয় এবং গ্যাস্ট্রিক কমে।
৫. গোশত রান্নায় কম তেল-মসলা ব্যবহার করুন গোশত রান্নায় অতিরিক্ত তেল, ঘি, মসলা ব্যবহার না করাই ভালো। সেদ্ধ বা গ্রিলড মাংস শরীরের জন্য তুলনামূলক ভালো।
৬. খাওয়ার পর হালকা হাঁটাহাঁটি করুন গোশত খাওয়ার পর বিছানায় না গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন। এতে গ্যাস্ট্রিক, ঢেকুর বা অস্বস্তি কমবে।
৭. এক বেলার ভারি খাওয়ার পর পরবর্তী বেলা হালকা খাবার খান যেমন দুপুরে মাংস খেলে রাতে স্যুপ, খিচুড়ি বা ভাত-সবজি খান।
৮. আদা, জিরা, পুদিনা চা পান করুন এইসব উপাদান হজমে সহায়ক। খাওয়ার পর এক কাপ আদা চা বা পুদিনা পাতার চা খেতে পারেন।
৯. ডেজার্ট কম খান সেমাই, পায়েস, ক্ষীর—সবই খেতে পারেন, তবে অল্প পরিমাণে। কারণ এগুলোও হজমে বাড়তি চাপ দেয়।
১০. পর্যাপ্ত পানি পান করুন, কোল্ড ড্রিংক নয় দিনভর ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। কোল্ড ড্রিংক বা অতিরিক্ত চা-কফি পরিহার করুন।