ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

শীতে নীরবে বাড়ে খারাপ কোলেস্টেরল

শীতে নীরবে বাড়ে খারাপ কোলেস্টেরল

শীতকাল এলেই সর্দি-কাশি, জ্বর– এসব বাড়বে তা সবারই জানা। এ সময় ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, ফলে ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে বেশি। কিন্তু শুধু সর্দি-জ্বরই নয়—শীতের আরেকটা ‘নীরব বিপদ’ হলো রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে খাবার-দাবারের অনিয়ম, শরীরচর্চার ঘাটতি এবং উৎসবমুখর মৌসুমের কারণে ওজন ও কোলেস্টেরল দ্রুত বেড়ে যায়।

শীতকালে বিয়ে-অনুষ্ঠান, পারিবারিক দাওয়াত আর উৎসবের চাপ লেগেই থাকে। ফলে তেল-চর্বিযুক্ত খাবারের পরিমাণ বেড়ে যায়। একই সঙ্গে ঠান্ডার কারণে অনেকেই নিয়মিত ব্যায়াম করেন না। এসব মিলেই শরীরে জমতে থাকে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল, যা হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

ফাইবার জাতীয় খাবার খুব জরুরি

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। এটি শুধু কোলেস্টেরল কমায় না, রক্তে শর্করা ও ওজনও নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাই যত ভারী খাবারই খান না কেন, অবশ্যই পাশে রাখুন তাজা শাকসবজি ও ফলমূল।

ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সাহায্য করে

হার্ট সুরক্ষিত রাখা এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দারুণ কার্যকর। এজন্য নিয়মিত মাছ, আখরোট, চিয়া সিডসহ ওমেগা–৩ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। এতে শরীরে প্রয়োজনীয় পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটও সরবরাহ হয়।

নিয়মিত শরীরচর্চা ছাড়া বিকল্প নেই

শরীরচর্চা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায়। শীতে ওজন দ্রুত বাড়তে থাকে, তাই শুধু ডায়েট মেনে চললেই হবে না; প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতেই হবে। যত ব্যস্ততাই থাকুক, এই অভ্যাস বজায় রাখলে হৃদ্‌স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

খাওয়াদাওয়া ও অভ্যাসে সংযম জরুরি

শীত উৎসবের মৌসুম হলেও খাওয়াদাওয়ায় সচেতনতা জরুরি। অতিরিক্ত তেল-চর্বি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চললে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে। এছাড়া মদ্যপান শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ায়, তাই এ অভ্যাস থেকে দূরে থাকাই ভালো। নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস একাধিক রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

কোলেস্টেরল,শীত,শরীরচর্চা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত