চব্বিশের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিবিসি আই এর একটি অনুসন্ধানে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বলেছেন, শেখ হাসিনার ফোনালাপের আন্তর্জাতিক ভেরিফিকেশন মামলার বিচারে স্বচ্ছতা বাড়াবে। এটি ডকুমেন্ট আকারে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৯ জুলাই) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
প্রসিকিউটর গাজী তামিম বলেন, শেখ হাসিনার বেশ কয়েকটি অডিও বক্তব্য এর আগে পুলিশের ক্রাইমস ইনভেস্টিগেশন টিম পরীক্ষা করেছে। তারাও ফরেনসিক সত্যতা পেয়েছে, এসব ফোনালাপ হাসিনারই। তারপরও আন্তর্জাতিক সংস্থা নতুন করে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা মামলার অভিযোগ প্রমাণে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আদেশ দেবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। শেখ হাসিনা ছাড়াও এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দিলে সেখানে অন্যান্য ডকুমেন্টের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হবে শেখ হাসিনার ফোনালাপের আন্তর্জাতিক ভেরিফিকেশন, জানান প্রসিকিউটর গাজী তামিম।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে ২০২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানে বাংলাদেশে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ দমন অভিযানে ফাঁস হওয়া অডিও কলে শেখ হাসিনার সরাসরি গুলি চালানোর নির্দেশের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়।
উল্লেখ্য, গত মার্চে ফাঁস হওয়া ওই অডিওটিতে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘প্রয়োজনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করো। যেখানে পাবে, গুলি করবে।’ বিবিসির তথ্যমতে, কলটি রেকর্ড করেছিল বাংলাদেশ সরকারের টেলিযোগাযোগ নজরদারি সংস্থা এনটিএমসি (NTMC)।