রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের কাছে প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে (৩৯) পাথর মেরে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িত আরও এক এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এ নিয়ে এই মামলায় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার ৯ নম্বর আসামি টিটন গাজীকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ৯ জুলাই বুধবার বিকেলে ঘটে যায় এক বীভৎস ও হৃদয়বিদারক ঘটনা। প্রকাশ্য দিবালোকে, মানুষের সামনে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ভাঙারী ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯)। কুপিয়ে, পিটিয়ে ও মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর রাস্তার মাঝখানে ফেলে মৃতদেহের ওপর চালানো হয় পাশবিক উল্লাস। যা ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোহাগকে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালের গেটের ভেতরে মারধর করা হয়। পরে তাকে টেনে-হিঁচড়ে গেটের বাইরে এনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
নিহত সোহাগের পরিবার জানায়, তিনি সপরিবারে কেরানীগঞ্জে থাকতেন। রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও সম্প্রতি তিনি পুরান ঢাকায় ভাঙারির ব্যবসা করতেন। ব্যবসায়িক বিরোধ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
আবা/এসআর/২৫