ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই খসড়া পাঠালো ঐকমত্য কমিশন

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই খসড়া পাঠালো ঐকমত্য কমিশন

দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে প্রেরণ করা হয়েছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর খসড়া। এটি ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে প্রণীত এবং এতে মোট ৮৪টি বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য এবং ৮টি অঙ্গীকারনামা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

খসড়ায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত ছাত্র, শ্রমিক ও জনগণের গণঅভ্যুত্থান দেশের গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য এক অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

এই সময়কে ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ হিসেবে আখ্যা দিয়ে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, তখন গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জোট ও শক্তিসমূহ সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন প্রক্রিয়া, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের লক্ষ্যে ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

খসড়ার মূল বিষয়বস্তু--

* জনগণের ইচ্ছাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য: সনদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের মালিক জনগণ; তাদের ইচ্ছাই সর্বোচ্চ আইন হিসেবে গণ্য হবে। সকল রাজনৈতিক দল ও জোট সম্মিলিতভাবে জনগণের ইচ্ছাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে।

* গণতান্ত্রিক স্বীকৃতি: ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এতে শহীদদের মর্যাদা, আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হবে।

* আইনি ও সংবিধানিক প্রাধান্য: সনদের সকল বিধান, সুপারিশ ও প্রস্তাব সংবিধান ও আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন, নতুন আইন প্রণয়ন বা বিদ্যমান আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

* প্রতিষ্ঠানিক সংস্কার: খসড়ায় সংযুক্ত অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়া, বিচার ব্যবস্থা, পুলিশ প্রশাসন, দুর্নীতি দমন ব্যবস্থাসহ সকল সরকারি ও প্রশাসনিক কাঠামোতে প্রয়োজনীয় সংস্কার অব্যাহত থাকবে।

* চূড়ান্ত মীমাংসা: সনদের ব্যাখ্যা বা প্রয়োগ সংক্রান্ত কোনো প্রশ্নে চূড়ান্ত মীমাংসা বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এখতিয়ারভুক্ত থাকবে।

* বাস্তবায়নের অঙ্গীকার: খসড়া অনুযায়ী, ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের আগে কার্যকর করা হবে।

খসড়া পাঠানোর এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংলাপ ও ঐকমত্যের প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমন্বয়, জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুসংহত করার লক্ষ্য রয়েছে।

ঐকমত্য কমিশন,জুলাই খসড়া,রাজনৈতিক দল
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত