অনলাইন সংস্করণ
১৭:২৭, ২৫ আগস্ট, ২০২৫
অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি। গতকাল রবিবার রাজধানী ঢাকাসহ সাভার, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ ও দক্ষিণ কেরানিগঞ্জে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিতাসের আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ–সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় পরিচালিত অভিযানে প্রায় ৪০ ফুট অবৈধ বিতরণ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। এতে ৪০টি ডাবল চুলার অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ হয় এবং মাসিক প্রায় ৪৩ হাজার টাকা মূল্যের গ্যাস চুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়। একই অভিযানে তিনটি সোর্স কিলিং করা হয়েছে।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়ের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। সেখানে একটি অবৈধ চুনা কারখানা ও প্রায় ৮ কিলোমিটার অবৈধ বিতরণ লাইনের মাধ্যমে ৫ হাজার ৫০০ আবাসিক ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানে ২১০ ফুট এমএস পাইপ জব্দ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ কেরানিগঞ্জের বেগুনপট্টি ও দোলেশ্বর এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে দুটি অবৈধ ওয়াশিং কারখানা ও একটি আবাসিক সংযোগে ছয়টি ডাবল চুলার গ্যাস ব্যবহার শনাক্ত করা হয়।
অভিযানে ৪৩০ ফুট লাইন পাইপ, ৩০ ফুট জিআই পাইপ, ২টি বল ভালভ ও একটি আবাসিক রেগুলেটর জব্দ করা হয়। এতে মাসিক প্রায় ৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকার গ্যাস অপচয় রোধ সম্ভব হয়েছে।
এছাড়া তিতাসের আঞ্চলিক ভিজিল্যান্স বিভাগ নারায়ণগঞ্জে আটটি বাণিজ্যিক, শিল্প ও সিএনজি প্রতিষ্ঠানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
রায়ান সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত ভালভ ব্যবহারের বিষয়টি শনাক্ত করে অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে কাকলি ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, সুমা স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং, স্টার কাস্টিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার বন্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।