ঢাকা সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ফেব্রুয়ারিতেই ‘মহোৎসবের’ নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারিতেই ‘মহোৎসবের’ নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন হবে একটি ‘মহা উৎসব’, যা জাতির জন্য নবযাত্রার সূচনা ঘটাবে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। সে নির্বাচন মহোৎসবের নির্বাচন হবে। যদি আমরা আমাদের এগুলো ফয়সালা করে ফেলতে পারি তাহলে এটা মহা উৎসব এবং জাতির সত্যিকার নবজন্ম হবে। এটা শুধু নির্বাচন না, এটা মহা উৎসব।

তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশন গঠনের সময় তিনি নিশ্চিত ছিলেন না এ উদ্যোগ সফল হবে কি না।

কিন্তু দীর্ঘ আলোচনা ও ধৈর্যের মধ্য দিয়ে কমিশনের সদস্যরা একটি ‘অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত’ স্থাপন করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনারা মূল কাজটা করে ফেলেছেন, সামান্য রাস্তা বাকি। সবকিছু নির্ভর করছে শেষ অংশটুকুর ওপর। বাকি রাস্তাটুকু যেন আপনারা সুন্দরভাবে সমাপ্ত করেন, পৃথিবীর জন্য নজির সৃষ্টি করেন।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, সমঝোতার পথ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, ‘যত কথাই আমরা বলি, যত যুক্তি দিই সমাধান এখানেই। আমাদের জাতি হিসেবে যে নবযাত্রা শুরু করার সুযোগ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের দিয়েছে, সেটার একমাত্র সমাধান হলো সমঝোতার পথে গিয়ে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করা। জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা একটা অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই। ইতিহাসের স্মরণীয় অধ্যায় রচনা করেছেন। এখন শুধু এটাকে নিখুঁতভাবে শেষ করতে হবে।’ ড. ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর, যা দেশের নতুন যাত্রার সূচনা করবে।

এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চূড়ান্ত রূপ পাওয়া জুলাই জাতীয় সনদকে দেশের রাজনীতিবিদদের ঐক্যের দলিল।

রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ড. আলী রীয়াজ বলেন, দলগুলোর মধ্যে যে সহযোগীতার ধারা তৈরি হয়েছিল, সামনের মাসগুলোতে তা অক্ষুণ্ণ রেখে চূড়ান্ত পরিণতিতে পৌঁছাতে পারবো। এটি কমিশনের প্রত্যাশা। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য অপরিহার্য। পরাজিত ফ্যাসিবাদি শক্তি এখনও চায়, এ প্রক্রিয়া যেন সফল না হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে আমরা দীর্ঘদিন ধরে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। কিছু বিষয় ছিল যেগেুলো সংবিধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। আর কিছু বিষয় আছে যেগুলো সংবিধান-সংশ্লিষ্ট। যেগুলো সংবিধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় সেগুলো অর্ডিন্যান্স অথবা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

আখতার হোসেন আরও বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি মনে করে একটি গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান ও নতুনভাবে লিখিত ধারা-উপধারা ও অনুচ্ছেদের মধ্য দিয়ে যে সংশোধনী ও সংস্কার প্রস্তাবে আমরা একমত হয়েছি সেগুলো টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।

আবা/এসআর/২৫

ফেব্রুয়ারি,নির্বাচন,মহোৎসব
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত