
আজ ৩ নভেম্বর, জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পরের দিন, ৪ নভেম্বর, তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ইতিহাসে ‘জেলহত্যা মামলা’ নামে পরিচিতি পায়।
দীর্ঘ সময় মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। প্রায় ২৯ বছর পর, ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করে।
আদালতের রায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মোট ১১ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে ১০ জন এখনো পলাতক। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদের একজন ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ ২০২০ সালের এপ্রিলে গ্রেপ্তার হন এবং শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
জেলহত্যা মামলার রায় ঘোষণা হলেও বেশিরভাগ আসামি বিদেশে পলাতক থাকায় দণ্ড কার্যকর সম্ভব হয়নি।