ঢাকা কলেজের স্বাতন্ত্র অস্তিত্ব রক্ষা এবং প্রস্তাবিত ও বাস্তবায়নাধীন ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’–এর স্কুলিং মডেল বাতিলের দাবিতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় অবরোধ করে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিয়েছেন তারা।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে এই অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ফলে বর্তমানে সায়েন্সল্যাব মোড় দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘স্কুলিংয়ের ঠাঁই নাই, ঢাকা কলেজের আঙিনায়’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘স্কুলিংয়ের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘স্কুলিংয়ের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা কলেজসহ পুরোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের শিক্ষায় দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য, স্বকীয়তা ও সুনাম বহন করে আসছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামো চালু হলে এই ঐতিহাসিক পরিচিতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এছাড়া এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থী বা সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মতামত ছাড়াই নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
উল্লেখ্য, ইউজিসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ গঠনের প্রস্তাব করেছে। সংসদ না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকার এই রূপরেখা অধ্যাদেশ আকারে জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাঠামোর ওপর মতামত নেওয়ার জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে। খসড়ায় সাত কলেজকে ৪টি স্কুলে বিভক্ত করে ইন্টারডিসিপ্লিনারি কাঠামোয় উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর—তিন স্তরের পাঠদানসহ একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
