অনলাইন সংস্করণ
২২:০৪, ৩০ জুলাই, ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সরকারের যে কোনো ভুল সিদ্ধান্তে দেশে গণতন্ত্র উত্তরণের যাত্রাপথকে সংকটে ফেলে দিতে পারে। দেশে ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকে বিশেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে সাভারের আশুলিয়ার দারুল ইহসান মাদরাসা মাঠে এক সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, দেশের জনগণ কয়েকজন মানুষের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্য গত দেড় দশক ধরে আন্দোলন অব্যাহত রাখেনি। কিংবা জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়নি। জনগণ রাষ্ট্র এবং সরকারে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যই স্বৈরাচারকে হটিয়েছে, জীবন উৎসর্গ করেছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও রাজনীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে জনগণ। জনগণকে দুর্বল রেখে রাষ্ট্র, রাজনীতি, সরকার কিংবা সংস্কার কোনো কিছুকেই শক্তিশালী এবং টেকসই করা সম্ভব নয়; করা যাবে না। নাগরিকদের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগ ও চর্চার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র, রাজনীতি এবং জনগণ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। রাষ্ট্রের জনগণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠলে ভবিষ্যতে কেউ ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে পারবে না বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। দেশকে কেউ তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে সক্ষম হবে না।
তারেক রহমান বলেন, সরকার এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে জনগণের মুখাপেক্ষী করা গেলে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনা সম্ভব। একই সঙ্গে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করাও সম্ভব হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছরের জুলাইয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেই আন্দোলনে কিন্তু শ্রমজীবী মানুষের হয়তো সরাসরি কোনো স্বার্থ জড়িত ছিল না। কারণ তারা কোনো সরকারি চাকরির আশা করেননি। তাহলে প্রশ্ন আসে পোশাক কারখানার শ্রমিক, রিকশাচালক, দিনমজুর, ভ্যানচালক, অটোরিকশাচালক, ট্রাকচালক, হেলপার, দোকান কিংবা রেস্তোরাঁ কর্মী অথবা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ, সব শ্রেণিপেশার মানুষ কেন সেদিন রাজপথে নেমেছিল? একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি একটি কারণ খুঁজে পাই। এর কারণ একটাই- দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষ বিশ্বাস করেছেন, রাষ্ট্রক্ষমতায় ক্ষমতালোভী ফ্যাসিস্ট যে পালিয়ে গিয়েছে, তারা যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, জনতা কেউ তাদের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার ফেরত পাবে না।
তিনি আরও বলেন, সেদিন দেশপ্রেমী জনগণ বিশ্বাস করেছিল যে ক্ষমতালোভী ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে সক্ষম হলে দেশের সার্বভৌমত্ব লুন্ঠিত হবে। যে কারণে ফ্যাসিস্টদের সেই স্বৈরাচারের শাসনের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমী শ্রমজীবী কর্মজীবী মানুষ নির্দিধায় শহীদি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিল।
আবা/এসআর/২৫