
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্রে এক হাজার শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু জাতিসংঘের রিপোর্টে জুলাই আন্দোলনে ১৪০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। এক বছরের সরকার আহত এবং নিহতের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়েছে, তার একটা ছাপ ঘোষণাপত্রে রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনী সময় ঘোষণা নিয়ে আখতার হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ভাষণে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। আমাদের আপত্তি নেই। তবে নির্বাচনের আগে বিচারকে দৃশ্যমান করা এবং সংস্কার করা এটি এই সরকারের কর্তব্য। মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার প্রস্তুতি আমাদের দিতে হবে।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র ও প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।
জুলাই ঘোষণাপত্রে দেশের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুপস্থিত রয়ে গেছে বলে মনে করছে এনসিপি। আখতার হোসেন বলেন, ঘোষণাপত্রে উপনিবেশ বিরোধী লড়াইয়ের কথা বলা হয়েছে, উপনিবেশ বিরোধী লড়াই ৪৭-কে এখানে উল্লেখ করা হয়নি। ৪৭, ৭১ এবং ২৪ এর আন্দোলন ঘোষণাপত্রকে সমৃদ্ধ করতে পারতো।
তিনি আরও বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা গণহত্যা, জুডিসিয়াল কিলিং, আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলন, মোদী বিরোধী আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড পরবর্তী আন্দোলন ঘোষণাপত্রে উল্লেখ থাকলে ঘোষণাপত্র সমৃদ্ধ হতো।
এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের একটি নতুন সংবিধানের দাবি জানিয়ে আসছি, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান লেখার দাবি আমরা জানিয়ে এসেছি।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনে করে— বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করেই জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া হয়েছে। যদি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতেন, এটা ভালো হত।