অনলাইন সংস্করণ
২২:০৭, ২১ আগস্ট, ২০২৫
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে নানা চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণ যদি ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়, তবে বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেবে। এই আশঙ্কায় বিএনপির বিজয় ঠেকানোর অন্তর্ঘাতী রাজনীতি চালানো হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, একসময় ক্ষমতাসীন স্বৈরাচার সরকারের মতোই এখন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সহযোদ্ধা কয়েকটি রাজনৈতিক গোষ্ঠীর মধ্যেও বিএনপির বিজয় ঠেকানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, “গণতান্ত্রিক দলগুলোর বিরোধ এমন জায়গায় নেওয়া উচিত নয়, যেটি পুঁজিতে পরাজিত শক্তি নিজেদের পুনর্বাসনের সুযোগ পায়।”
নির্বাচনে প্রস্তাবিত পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতির বিরোধিতা করে তারেক বলেন, “বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় এ পদ্ধতি উপযোগী নয়। জনগণের ভোটে কাকে সংসদে পাঠানো হচ্ছে, তা জানার অধিকার তাদের থাকা উচিত।”
হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, অতীতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অধিকাংশ ঘটনাই রাজনৈতিক স্বার্থ বা অবৈধ লাভের আশায় ঘটানো হয়েছে, ধর্মীয় কারণে নয়। তিনি আশ্বাস দেন, বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে এমন অবিচার যাতে আর না হয় তা নিশ্চিত করবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, দেশে “একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে”। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উগ্রবাদ প্রতিরোধের আহ্বান জানান।