
আমরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা দেখি না, তবে নির্বাচন হওয়ার আগে কিছু বিষয়ে সমাধান হওয়া খুব জরুরি—এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
তিনি বলেন, যারা সংস্কার বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছেন, কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে বিলম্ব করা হচ্ছে, এর প্রভাবে নির্বাচনে কোনো ক্ষতি হলে তাদের জাতির কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, আমার আমেরিকা সফর ছিল অত্যন্ত সফল। সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিশাল সমাগম ঘটেছে। মনে হয়েছে যেন চীন মৈত্রী সম্মেলনে যোগ দিয়েছি। প্রবাসীরা বাংলাদেশের রাজনীতি, ভবিষ্যৎ সরকার ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিশেষ করে ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের ফল আমেরিকায়ও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বড় প্রভাব ফেলেছে। সেটা ভালো করেই উপলব্ধি করেছি।
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হওয়া দরকার। কারণ, একটি গণতান্ত্রিক জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার দেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা বলে, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই সমস্যার সমাধান দিতে পারে।
নির্বাচনের আগে সংস্কার বাস্তবায়ন অপরিহার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যে জুলাই সনদে নীতিগতভাবে একমত হয়েছি, সেটি এখনই আইনি ভিত্তি দিতে হবে। অন্যথায় সবকিছু প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।
এ সময় ভারতে অবস্থানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, আমি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে গিয়েছিলাম, চিকিৎসার জন্যও কিছু সময় ছিলাম। কিন্তু আমার নামে গুজব ছড়ানো হচ্ছে—এসব ভিত্তিহীন।
তিনি আরও বলেন, এখন তো এআই দিয়ে ভিডিও বানিয়ে যে কোনো কিছু দেখানো যায়। মানুষ কিন্তু এসব বোঝে। আমাদের প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসকে নিয়েও নাচগানের ভিডিও রয়েছে। এগুলো খুবই ন্যক্কারজনক।