অনলাইন সংস্করণ
১৯:৫৭, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, যেদিন নামাজের ইমাম সমাজের ইমাম হবেন, সেইদিনই সত্যিকারের মুক্তি মিলবে। তিনি বলেন, সমাজের ফায়সালা মসজিদের মিম্বার থেকে হবে। আমাদের ইমাম এবং খতিব সাহেবেরা কারও করুণার পাত্র হবেন না। খতিব-ইমামদের আসল মর্যাদা তাদের হাতে তুলে দিতে হবে।
রোববার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মিলিত ইমাম-খতিব জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জামায়াত আমির বলেন, আমরা যখন জীবিত আছি, তখন ইমাম-খতিবরা ইমামতি করবেন, আমরা তাদের পেছনে দাঁড়াই। দুনিয়া থেকে চলে গেলে আমাদের লাশের সামনে দাঁড়াবেন তারা। হায়াতেও ইমাম, মউতেও ইমাম। আমরা আজীবন তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে চাই।
তিনি উল্লেখ করেন, রাসূলে কারীম (সা.) মসজিদ গড়ে সমাজ গঠন করেছিলেন। মসজিদকে আল্লাহর পছন্দ অনুযায়ী মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। মসজিদকে কেন্দ্র করে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সমাজ ব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছিল। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, নবীজির সমাজকে বাদ দিয়ে যেকোনো মানব নির্মিত মতবাদের মাধ্যমে সমাজ গঠিত হলে তা শান্তি ও সম্মান দিতে পারবে না।
জামায়াত আমির বলেন, বাংলাদেশ ৯০ ভাগ মুসলিম দেশ। এই দেশে আইন কোরআনের মতাবলম্বী হবে। অন্য ধর্মের মানুষদেরও পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা, নাগরিক নিরাপত্তা ও অধিকার থাকবে। কোরআন সকল মাখলুকাতের অধিকার নিশ্চিত করেছে।
ইমাম-খতিবদের জন্য উত্থাপিত সাত দাবির মধ্যে মসজিদ কমিটি বিষয়ে তিনি বলেন, কমিটি হবে ইমাম ও খতিবদের পরামর্শের ভিত্তিতে, কমিটির প্রাণপুরুষ হবেন খতিব বা ইমাম। ভুল হলে তা সম্মানজনকভাবে সমাধান করতে হবে।
জামায়াত আমির বলেন, ইমাম-খতিবদের দাবিগুলো ছোট হলেও তারা সমাজের দায়িত্ব নিতে হবে। নামাজের ইমাম যেদিন সমাজের ইমাম হবেন, সেইদিনই সত্যিকারের মুক্তি আসবে।
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র ইমাম মাওলান মুহিব্বুল্লাহিল বাকি আন নদভী।
এতে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ, ইমাম-খতিবদের সামাজিক নিরাপত্তা ও সম্মানজনক ভাতা, মসজিদ পরিচালনার আধুনিক নীতিমালা প্রণয়নসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়।