নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল করে আন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত নারী প্রয়াস নামে একটি সংগঠন। বর্তমান কমিটিতে দেশের, সমাজের তথা রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করে এমন সদস্যদের রাখা হয়নি বলছে সংগঠনটি। গতকাল বৃহস্পতিবার ‘নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত সুপারিশমালা বাতিলসহ নতুন কমিশনের দাবিতে’ মানববন্ধন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস। মানববন্ধনে তাদের প্লাকার্ডে লেখা ছিল যৌকর্মের স্বীকৃতি, মানবিক রুচিবোধের বিকৃতি, নারী-পুরেুষের প্রতিপক্ষ নয়, পরিপূরক ও চাই ন্যায্য অধিকার। সম্মিলিত নারী প্রয়াসের সভাপতি প্রফেসর ড. শামীমা তাসনীম বলেন, কমিশনের সুপারিশগুলো মানুষের ব্যক্তি সমাজ এমনটি রাষ্ট্রীয় জীবনে নেতিবাচক প্রভার ফেলবে। আমার সঙ্গে আমার ভাইয়ের স্বামীর সংঘাত তৈরি করলেন। অন্যদিকে সমাজে পতিতাবৃত্তিকে, সিঙ্গেল মাদার এগুলোতে বৈধ করে দিলেন। কাল যদি আমাদের ছাত্রী সমাজ টিউশনির পাশাপাশি পতিতাবৃত্তিকে পার্টটাইম পেশা হিসেবে নিতে চায়, আপনি কি জবাব দেবেন! সম্মিলিত নারী প্রয়াসের সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা বকুল বলেন, জুলাই আন্দোলনে শহীদ, আহত যাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এই কমিশন তাদের প্রতি ন্যূনতম সম্মান প্রদর্শন করা হয়নি। তাদের সুপারিশমালা বহু জায়গা সাংঘর্ষিক।
৩০০ আসনে সরাসরি নির্বাচন, আবার আলাদা নারীদের ৩০০ আসনে নির্বাচন। একজন নারী দুবার প্রতিযোগিতা করবেন। একবার পুরুষের সঙ্গে আবার অপর একজন নারীর সঙ্গে। সমণ্ডঅধিকারের নামে ধর্ম আমাকে যেটুকু অধিকার দিয়েছে তাও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নারী তার ন্যায্য অধিকার চায়। সহ-সভাপতি ডা. শাহীন আরা আনওয়ারী বলেন, পতিতবৃত্তিকে বৈধ করে দিলে কি হবে, তা দেখার জন্য আমরা আফ্রিকার দিকে তাকাতে পারি। সেখানে বহু গ্রামে এখন আর সুস্থ মানুষ নেই। এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে গ্রাম উজাড় হয়ে গেছে। কেউ ইচ্ছা করে পতিতা হয় না। তাদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলুন।
