আমাদের জাতীয় ইতিহাসে যে কয়েকজন রাজনীতিক- তাদের অসামান্য নেতৃত্ব, সাহসিকতা এবং দূরদর্শিতার মাধ্যমে অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তাদের মধ্যে প্রধানতম। তার রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ধাপ ছিল ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে গঠিত এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৯৮১ সালের ৩০ মে এক মর্মান্তিক রাতে চট্টগ্রামে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে তিনি শহিদ হন। তার এই অকাল প্রয়াণ জাতির হৃদয়ে এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি করে। মুক্তিযুদ্ধের ঊষালগ্নে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তিনি তার স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা করেন। তার এই সাহসিক ঘোষণা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর। যুদ্ধের পর সেনাবাহিনীতে থেকে দেশ গঠনের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন তিনি।
১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তেনের পর তিনি জাতীয় নেতৃত্বের শীর্ষে উঠে আসেন এবং ১৯৭৭ সালে গণভোট ও পরে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্রপতি হন।
রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে তার সবচেয়ে বড় অবদান ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে ফিরিয়ে আনা। তিনি দেশের জনগণকে আত্মনির্ভরতার পথ দেখিয়েছিলেন।
উৎপাদন বাড়াও, নিজের পায়ে দাঁড়াও এবং ‘জাগো বাহে’ ইত্যাদি স্লোগানের মাধ্যমে তিনি জাতিকে একটি কর্মমুখর ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত করতে চেয়েছিলেন।
শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর মাধ্যমে জাতি হারায় এক অসাধারণ প্রজ্ঞাবান ও সাহসী নেতাকে। তার মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে দেশের রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়, তা আজও পূরণ হয়নি। তার রেখে যাওয়া আদর্শ ও দিকনির্দেশনা আজও আমাদের জাতীয় জীবনে প্রাসঙ্গিক। উত্তর প্রজন্মের কর্তব্য হলো তার আদর্শকে ধারণ করা, স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করা এবং বাংলাদেশকে একটি সুশাসিত, মর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য কাজ করে যাওয়া।
জিয়াউর রহমান ছিলেন সেই জাতীয়তাবাদী নেতা, যিনি শহিদ হয়ে গেলেও তার আদর্শ ও স্বপ্ন জনগণের হৃদয়ে জীবন্ত হয়ে আছে। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি ছিলেন সৎ, পরিশ্রমী ও সময়ানুগ এক রাষ্ট্রনায়ক। যিনি কখনও অহংকার করেননি। কখনও নিজের পরিবারকে রাষ্ট্রের সুবিধাভোগী শ্রেণিতে রূপান্তরিত করেননি।
রাষ্ট্রের শাসনযন্ত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তিনি প্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং সেনাবাহিনীতে প্রয়োজনীয় সংস্কার এনেছিলেন। তিনি দেশকে স্বনির্ভর করতে আত্মনির্ভরতার ডাক দেন এবং জনগণের সঙ্গে তিনি একাত্ম ছিলেন, ছিলেন কর্মনিষ্ঠ ও সৎ, দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়নে তার ভূমিকা অনন্য।
শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাকশালি ব্যবস্থার বিলোপ সাধন করে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেন ও বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন, তখন দেশের একদল রাজনৈতিক অপশক্তি তার জনপ্রিয়তাকে হুমকি হিসাবে দেখছিলেন। দেশের অভ্যন্তরে তিনি ছিলেন সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ। গ্রামীণ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ তাকে ভালোবাসত। তার শাহাদাত বরণ ছিল বেদনাদায়ক। যা দেশের ইতিহাসে এক গভীর দুঃখ ও হতাশার জন্ম দেয়।
শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা নেতা। যিনি এক দলীয় শাসনের পর একটি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। তার শাহাদতের পর নেতৃত্বে একটি বড় শূন্যতা তৈরি হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর ফলে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপের সংস্কৃতি গাঢ় হয়। ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় এর মাধ্যমে প্রতিহিংসার রাজনীতি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে কুলষিত করে তোলে।
আমাদের জাতীয় ইতিহাসের পাদণ্ডপ্রদীপের সামনে জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব বিস্ময়কর ঘটনা। তিনি ছিলেন নিঃসন্দেহে এক ব্যতিক্রমী পুরুষ। নিস্তরঙ্গ সযুদ্ধে তিনি এক প্রচণ্ড ঝড় সৃষ্টি করেছিলেন। সেই ঝড়কে তিনি শান্ত, স্থিত এবং নিয়ন্ত্রিত করেছিলেন, তাকে পরিণত করেছিলেন জনগণের শান্তিতে, বিশ্বাসে ও প্রত্যাশায়। সত্তুর এবং আশির দশকের ক্রান্তিকালে বিশ্বে যে ক’জন জননন্দিত নেতার সাক্ষাৎ আমরা পাই, শহিদ জিয়া ছিলেন তাদের প্রথম সারির একজন।
রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক থেকে কিংবা নিছক ঈর্ষার কারণে যারা ছিলেন তার চরমবিরোধী তাদের পক্ষেও সম্ভব হয়নি তার উপস্থিতিকে অস্বীকার করা। একেবারে শুরু থেকেই উজানের বিপৎসংকুল পথ ধরে যাত্রা শুরু করেছিলেন শহিদ জিয়া। গড্ডালিকা স্রোতে ভেসে যাওয়ার রাজনীতিকে তিনি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কেননা, অনুকূল হাওয়ায় পাল তুলে দেওয়া নীতি ছিল তার স্বভাব বিরুদ্ধ।
অসাধারণ প্রতিভা এবং সাহস ছিল বলেই একজন মেজর পদে অধিষ্ঠিত থেকে তিনি বিরাট ঝুঁকিপূর্ণ একটি স্বাধীনতা যুদ্ধ ঘোষণা করার মনোবল দেখাতে পেরেছিলেন এবং সমস্ত চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেই যুদ্ধের অগ্রগামী নেতৃত্বের দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। একজন দূরদর্শী সামরিক স্ট্রাটেজি নেওয়ার সব গুণই ওই বয়সে তার মধ্যে পরিস্ফুটিত দেখা গেছে। সামরিক প্রতিভার সঙ্গে রাজনৈতিক সংকটের গভীরতা অনুধাবনের ক্ষমতা এবং দূরদৃষ্টিও সমাবেশ ঘটেছিল তার মধ্যে।
বাংলাদেশ, বাংলাদেশের জনগণ এবং এখানকার ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে পাকিস্তানি শাসকদের অবজ্ঞাপূর্ণ মনোভাবের সঙ্গে তার প্রথম পরিচয় ঘটে, তখন তিনি করাচিতে ছাত্র ছিলেন। অবমাননাকর এই দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যেই তিনি প্রথম আবিষ্কার করলেন অন্তঃআঞ্চলীয় সম্পর্কের মধ্যকার বৈষম্য। বৈষম্যের এই বাস্তব উপলব্ধি তরুণ জিয়াউর রহমানের মনে গভীর রেখাপাত করে, সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে তিনি দেখলেন পশ্চিমাদের আরও নগ্নরূপ। বাংলাদেশিরা যেন নিচু জাতের মানুষ। তিনি নিজেই বলেছেন, এই অবমাননাকর আচরণ এবং নির্মম বৈষম্যনীতি তার আত্মমর্যাদাবোধকে প্রচণ্ডভাবে তোলপাড় করে তোলে। তিনি বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্যের কথা ভাবতে শুরু করেন। এরই স্পষ্ট ফলশ্রুতি আমরা লক্ষ্য করি, একাত্তরের পঁচিশে মার্চ রাতে তার আকস্মিক বিদ্রোহে, স্বাধীনতা ঘোষণায়, রেডিওর মাধ্যমে বিশ্ববাসীর প্রতি সাহায্যের উদাত্ত আহ্বানে।
স্বাধীনতার পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৭৫ সালে কয়েকবার ক্ষমতার রদবদল হয়। কিন্তু শহিদ জিয়া কারও সঙ্গে যোগ দেননি। তিনি বিশ্বস্ততার সঙ্গে তার নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে সিপাহী জনতাই তাকে ক্ষমতায় বসানোর কাজটি করেন। তিনি নিজে ইচ্ছা করে ক্ষমতা গ্রহণ করেননি। ৭ নভেম্বরের পর আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও নব্য সাম্রাজ্যবাদের দিক থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার বিরুদ্ধে বারবার হুমকি ও হামলা এসেছে। কিন্তু শহিদ জিয়ার ইস্পাত কঠিন নেতৃত্বেই গোটা দেশপ্রেমিক শান্তিকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহত করে এবং সমগ্রবিশ্বের সমর্থন অর্জন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতাকে তিনি রক্ষা করেন। তার শাহাদাত বরণের ১ মাস ২০ দিন আগে ১০ এপ্রিল, ১৯৮১ মহান জাতীয় সংসদে এক ভাষণে তিনি দৃপ্তকণ্ঠে বলেছিলেন, ‘উপনিবেশবাদ, নব্য উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদ ও আদিপত্যবাদবিরোধী সব আন্দোলনের সঙ্গে রয়েছে আমাদের গভীর একাত্মতা।
শহিদ জিয়া গণতান্ত্রিক অধিকার সম্বন্ধে সচেতন ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন দেশের জনগণ একবার যদি গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার ভোগ করে তবে তা সারাজীবন জারি রাখতে হবে। কোনো কারণে সে অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত হলে গণঅসন্তোষ দেখা দেবে, মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসবে, তাই তিনি সব অধিকারের বিষয়ে ছিলেন সজাগ-আস্থাবান। তিনি জানতেন রাজনৈতিক অধিকার ব্যতিরেকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্থহীন, অর্থনৈতিক মুক্তি অবাস্তব তাই তার ১৯ দফা কর্মসূচিকে তিনি গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে রেখে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বাস্তবায়িত করতে চেয়েছিলেন যাতে জনগণ গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুবিধা একসঙ্গে ভোগ করতে পারে। সামরিক শাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য তিনি নিজে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তার জন্য জনগণকে কোনো দাবি বা আন্দোলন করতে হয়নি। এজন্য তিনি দেশের মানুষের কাছে চিরকাল শ্রদ্ধাভাজন হয়ে থাকবেন।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্মান ও স্বীকৃতি এবং বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাংলাদেশকে অধিষ্ঠিত করা শহিদ জিয়ার স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির একটি বিরল উদাহরণ। মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির পটভূমি তার সময় থেকেই। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সহযোগিতামূলক সম্পর্ক সম্প্রসারিত ও জোরদার হওয়ার ফলে, তিনি অভ্যন্তরীন উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিতে পেরেছিলেন। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পতাকা সমুন্নত রেখে দেশের উন্নয়ন, জনকল্যাণ ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনই ছিল তার মূল লক্ষ্য।
তিনি দেশের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করা এবং সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের উপর জোর দেন। তিনি মনে করতেন, শক্তিশালী, উন্নত ও দক্ষ সশস্ত্র বাহিনীর এবং জনগণের প্রতিরোধ চেতনা ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণে সক্ষম এবং তার বড় রক্ষাকবচ। শহিদ প্রেসিডেন্ট গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন যে, কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তোলার জন্য দরকার দেশের উন্নয়ন, নিজস্ব সম্পদ ও জনশক্তির সর্বাবিধ সুষ্ঠু ব্যবহার। কেবল তাহলেই অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন ও দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব হবে। একারণেই শহিদ জিয়া তার ১৯ দফা উন্নয়ন কর্মসূচিতে কৃষিশিল্পে উৎপাদন বৃদ্ধি, খাল খনন, গ্রামোন্নয়ন প্রাথমিক ও গণশিক্ষার বিস্তার, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ সাধন, স্বনির্ভরতা অর্জন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
শহিদ জিয়ার কাছে গণতন্ত্র শুধু রাজনৈতিক ব্যবস্থাই ছিল না। গণতন্ত্রকে তিনি দেখেছেন এক জীবন ব্যবস্থা রুপে, তাই জীবনকে সুন্দর করার জন্য যা যা প্রয়োজন তিনি সেদিকে দৃষ্টি দিয়েছেন। শিল্পকলা থেকে শিশু একাডেমি শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বিএনসিসি, রাজনৈতিক থেকে আঞ্চলিক সংস্থা, কৃষির অগ্রগতি থেকে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি, ক্রীড়ানুষ্ঠান থেকে সংস্কৃতি চর্চা, গ্রাম সরকার থেকে দেশের সার্বোচ্চ বিচারালয়ের স্বাধীনতা সকল ক্ষেত্রে ছিল তার অবাধ বিচরণ। আজকের বাংলাদেশের চার দেয়ালের যে দিকে তাকাইনা কেন, সবদিকেই রয়েছে তার প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন তার নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস আজও চিরঞ্জীব হয়ে আছে।
শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কতখানি জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন তা আমরা অনুধাবণ করতে পারি তার শহিদ হওয়ার পর ঢাকার দৃশ্য থেকে। তার দেহাবশিষ্ট শেষবারের মতো দেখার জন্য এবং তার জানাজায় ২০ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি এক বিস্ময়কর ঘটনা। জণগণের অত্যন্ত প্রিয় নেতা আমাদের মধ্যে নেই সত্য; কিন্তু তিনি আছেন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে তার ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকীতে তাকে অত্যন্ত বিনয়াবনত চিত্তে স্মরণ করছি এবং আত্মার শান্তি কামনা করছি।
লেখক : সহ-প্রচার সম্পাদক, বিএনপি