ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কিছু না থাকার আদিগন্তগুলো

মাসুদ চয়ন
কিছু না থাকার আদিগন্তগুলো

শ্মশানে ভস্মীভূত অনটন, ধোঁয়া হয়ে উড়ে আসছে নাগরিক সভ্যতার দিকে।

কবরের বধির সম্ভাষণ খুঁজে ফিরছে তাকে, যার হারিয়েছে অনন্ত অনুধাবণ, স্মৃতি রোমন্থন-

দ্বিচারিত অনটনে সংকটে ভুগছিলে তবে কি তুমিই একা?

প্রকৃতিও শব্দহীন হয়ে গেছে দেখো-

যেন সেও শিলাস্তরের সব থেকে কঠিন সম্ভ্রম।

আজ রঙের শিহরণে শুধুই রহস্য।

শ্মশানে চিতা কাঠের গুঁড়ি আড়াআড়ি শুয়ে আছে, কাতরাতে কাতরাতে ছুটে আসছে,

কবরের গুল্মগুলো জট পাকিয়েছে সেই সমতলে- ধেয়ে আসবে বলে-

যখন থাকে না কিছুই- যুক্তির প্রথাগত স্রোতে না হাঁটাই ভালো-

না-থাকার শিল্পে শিল্পীকে একা হলে বেশ লাগে-

আর বেঁচে থাকার যেটুকু আনন্দ, সেটুকু পাওয়ার জন্য অন্ধকার তো আছেই;

সমান্তরালে হাঁটলেই হবে।

আমি নীল হয়ে যাবো- এ ভেবে কেঁদো না যেন,

কাঁদলে মনে হবে;

কী ভুলোমনা হিসেব আমার!

ভুলের সমতটে আবারও অন্ধ হলাম,

আছে তো কেউ-

তুমি আছো হয়েই;

যখন থাকে না কিছুই- শূন্যকে থেকে যাওয়া ধরে নেওয়া ভালো-

না-থাকার জটিল হিসেব হতে, শিল্পী যেহেতু, দূরে থাকা ভালো।

শূন্যকে ভালোবাসি মেনে মহাশূন্য যাত্রায় বিলীন হওয়া ভালো।

যদিও প্রতিবার নিশ্চুপ হয়ে যেতে হবে বিষাদের পেরিস্কোপে-

শুরু হবে পরাবাস্তবিক ঢেউ-

অদৃশ্য অনন্তে,

আনমনে হেঁটে যাবে তুমি অচেনা নক্ষত্রের কাছে,

আমি জীবন্ত শিখায় আগুন দিয়ে-

তখন মৃত্যুর মতো পবিত্র মনে হবে নিজেকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত