প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
শ্মশানে ভস্মীভূত অনটন, ধোঁয়া হয়ে উড়ে আসছে নাগরিক সভ্যতার দিকে।
কবরের বধির সম্ভাষণ খুঁজে ফিরছে তাকে, যার হারিয়েছে অনন্ত অনুধাবণ, স্মৃতি রোমন্থন-
দ্বিচারিত অনটনে সংকটে ভুগছিলে তবে কি তুমিই একা?
প্রকৃতিও শব্দহীন হয়ে গেছে দেখো-
যেন সেও শিলাস্তরের সব থেকে কঠিন সম্ভ্রম।
আজ রঙের শিহরণে শুধুই রহস্য।
শ্মশানে চিতা কাঠের গুঁড়ি আড়াআড়ি শুয়ে আছে, কাতরাতে কাতরাতে ছুটে আসছে,
কবরের গুল্মগুলো জট পাকিয়েছে সেই সমতলে- ধেয়ে আসবে বলে-
যখন থাকে না কিছুই- যুক্তির প্রথাগত স্রোতে না হাঁটাই ভালো-
না-থাকার শিল্পে শিল্পীকে একা হলে বেশ লাগে-
আর বেঁচে থাকার যেটুকু আনন্দ, সেটুকু পাওয়ার জন্য অন্ধকার তো আছেই;
সমান্তরালে হাঁটলেই হবে।
আমি নীল হয়ে যাবো- এ ভেবে কেঁদো না যেন,
কাঁদলে মনে হবে;
কী ভুলোমনা হিসেব আমার!
ভুলের সমতটে আবারও অন্ধ হলাম,
আছে তো কেউ-
তুমি আছো হয়েই;
যখন থাকে না কিছুই- শূন্যকে থেকে যাওয়া ধরে নেওয়া ভালো-
না-থাকার জটিল হিসেব হতে, শিল্পী যেহেতু, দূরে থাকা ভালো।
শূন্যকে ভালোবাসি মেনে মহাশূন্য যাত্রায় বিলীন হওয়া ভালো।
যদিও প্রতিবার নিশ্চুপ হয়ে যেতে হবে বিষাদের পেরিস্কোপে-
শুরু হবে পরাবাস্তবিক ঢেউ-
অদৃশ্য অনন্তে,
আনমনে হেঁটে যাবে তুমি অচেনা নক্ষত্রের কাছে,
আমি জীবন্ত শিখায় আগুন দিয়ে-
তখন মৃত্যুর মতো পবিত্র মনে হবে নিজেকে।