পশতু ভাষায় তালেবান মানে হচ্ছে ‘ছাত্র’। আফগানিস্তান থেকে যখন সোভিয়েত সৈন্যরা পিছু হটল, তখন ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে উত্তর পাকিস্তানে তালেবান আন্দোলনের জন্ম। এ আন্দোলনে মূলত পশতুন অর্থাৎ পশতুভাষীদের প্রাধান্য। ধারণা করা হয়, মাদ্রাসাগুলোতে প্রথম এরা সংগঠিত হয়। এ মাদ্রাসাগুলো পরিচালিত হতো সৌদি অর্থে। সেখানে সুন্নি মতাদর্শের ইসলাম প্রচার করা হতো। পাকিস্তান ও আফগানিস্তান দুই দেশের সীমান্তের দু’দিকে আছে বিস্তীর্ণ পশতুন অধ্যুষিত অঞ্চল। তালেবান এসব অঞ্চলে খুব দ্রুত প্রভাবশালী হয়ে ওঠে।
জনপ্রিয়তার কারণ : তারা দুর্নীতি দমনে সাফল্যে দেখিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছে। নিয়ন্ত্রিত রাস্তায় ও অঞ্চলে নিরাপদে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ করে দেয়। একই সঙ্গে তাদের জারি করা কঠোর শরিয়া শাসনের অধীনে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মতো শাস্তি চালু করে। অপরাধী কিংবা ব্যাভিচারীদের প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। চুরির দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের হাত কেটে নেওয়া হয়। পুরুষদের দাড়ি রাখা ও মেয়েদের পুরো শরীর ঢাকা বোরকা পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। তালেবান টেলিভিশন, সংগীত ও সিনেমা নিষিদ্ধ করে। দশ বছরের বেশি বয়সি মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার দরকার নেই বলে নিয়ম জারি করে। তালেবানের বিরুদ্ধে বহু ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধ্বংসের অভিযোগ ওঠে। তাদের সবচেয়ে বড় কাণ্ড ছিল ২০০১ সালে আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলে বিখ্যাত বামিয়ান বুদ্ধের মূর্তি ধ্বংস করা। এর বিরুদ্ধে তখন আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার ঝড় ওঠে।
উত্থান : যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, ১৯৮৯ সালে আফগানিস্তান থেকে তৎকালীন সোভিয়েত সেনা প্রত্যাহারের পর ১৯৯৪ সাল নাগাদ তালেবানের উত্থান হয়। তাদের যাত্রা শুরু দেশটির কান্দাহার প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে। এ প্রদেশের যে এলাকায় পশতু জাতিগোষ্ঠীর বসবাস, সেখান থেকে তাদের উত্থান। সাবেক সোভিয়েত সরকার আফগানিস্তানে হামলা চালিয়েছিল ১৯৭৯ সাল নাগাদ। তখন আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ছিল কমিউনিস্ট সরকার। ক্ষমতায় থাকা দলটির নাম ছিল পিপলস রিপাবলিক পার্টি অব আফগানিস্তান। এদের সাহায্য করতেই আফগানিস্তানে এসেছিল সোভিয়েতরা। আফগানিস্তানে নিজেদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে চেয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন আফগান মুজাহিদদের হাতে মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহর নেতৃত্বাধানী তৎকালীন সোভিয়েতপন্থি সরকারের পতন হয়। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ছিল। তাদের জন্য তা ছিল ছায়াযুদ্ধ। সেই যুদ্ধে মুজাহিদদের সাহায্য করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু মুজাহিদদের এ বিজয় দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
কারণ, ক্ষমতা গ্রহণের পরই বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র করে লড়াই শুরু হয়। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, এ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে তালেবানের উত্থান। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ইসলামি মূল্যবোধের আলোকে দেশ চালাবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। তালেবানের এ প্রতিশ্রুতি জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। এরপর কয়েক মাসের লড়াইয়ের পর তারা দেশের অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। সোভিয়েত ও মুজাহিদদের লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা আরও স্পষ্ট করে উপস্থাপন করেছে স্কাই নিউজ। তারা বলছে, এ মুজাহিদিন থেকেই তালেবানের জন্ম। সোভিয়েতের সঙ্গে লড়াইয়ে মুজাহিদদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। তবে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সেনা প্রত্যাহারের পর পাকিস্তান থেকে তালেবানের যাত্রা শুরু। এটা ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকের ঘটনা। ধারণা করা হয়, সে সময় ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক আন্দোলনে যুক্ত ছিল তারা। মূলত সুন্নি মতাদর্শ প্রচার করত তালেবান। আর ওই সময় তাদের অর্থায়ন করত সৌদি আরব। এরপর থেকে আর পাকিস্তানে সীমাবদ্ধ থাকেনি তালেবান। পশতু জাতিগোষ্ঠীর বসবাস, এমন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তারা। প্রতিশ্রুতি দেয়, এসব এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। একই সঙ্গে ‘ইসলামের আইন’ অনুসারে শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে এসব এলাকায়। গত শতকের ৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তালেবানের ব্যাপক উত্থান হয়। ১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বরে তারা আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর ঠিক এক বছর পর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তালেবানের হাতে। এরমধ্য দিয়ে আফগান মুজাহিদিন সরকারের পতন হয়। ক্ষমতাচ্যুত হন আফগান মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা বোরহানুদ্দিন রাব্বানি। ১৯৯৮ সাল নাগাদ আফগানিস্তানের ৯০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। মাত্র তিনটি দেশ তালেবানকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। দেশগুলো হলো সৌদি আরব, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
নেতৃত্ব : তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমর। এ সংগঠন দীর্ঘদিন তার নেতৃত্বে ছিল। ২০০১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও ২০১৩ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। এর কিছু সময় পর নেতৃত্বে আসেন হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। তালেবানের রাজনীতি, সামরিক পদক্ষেপ ও ধর্মীয় বিষয়আশয়ও তার নিয়ন্ত্রণে। তালেবানের ‘বিশ্বস্ত নেতা’ হিসেবে পরিচিত তিনি। তালেবানের নেতৃত্বের ছোট তালিকায় আছে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুবের নাম। তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ৩০ বছর বয়সি ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। ইয়াকুব বর্তমানে তালেবানের সামরিক শাখার দায়িত্বে আছেন। বহুল আলোচিত মুজাহিদিন কমান্ডার জালালুদ্দিন হাক্কানির ছেলে সিরাজুদ্দিন হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ নেটওয়ার্ক পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে তালেবানের অর্থনৈতিক ও সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এছাড়া রয়েছেন মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। তাকে তালেবানের অন্যতম সহপ্রতিষ্ঠাতা বলে মনে করা হয়। তালেবানের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে রয়েছেন শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টানিকজাই। তালেবান সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী স্টানিকজাই প্রায় এক দশক ধরে দোহায় বাস করছেন। ২০১৫ সালে সংগঠনটির রাজনৈতিক শাখার প্রধান নির্বাচিত হন স্টানিকজাই। এছাড়া রয়েছেন আবদুল হাকিম হাক্কানি। তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারী দলের প্রধান তিনি। তালেবানের সাবেক ছায়া প্রধান বিচারপতি হাক্কানি বর্তমানে ক্ষমতাধর ধর্মীয় কাউন্সিলের প্রধান। তালেবানের শীর্ষ নেতা হাইবাতুল্লাহর বিশ্বাসী সহচরদের মধ্যে তাকে অন্যতম বলে মনে করা হয়।
অর্থায়ন : স্কাই নিউজের তথ্য অনুসারে, তালেবানের অর্থায়নের পেছনে রয়েছে বেশ কিছু দেশ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ন্যাশনাল ওয়ার্ল্ডের দেওয়া তথ্য অনুসারে, সংগঠনটির অর্থায়ন নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, সংগঠনটির যাত্রা শুরুর প্রথমদিকে তাদের অস্ত্র ও অর্থের জোগান এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর কাছ থেকে। মূলত সোভিয়েতের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে ছায়াযুদ্ধে সংগঠনটিকে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে তারা। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিভাগের একটি সূত্র বলেছে, তালেবানকে অর্থ দেয় ইরান, রাশিয়া, সৌদি আরব ও পাকিস্তান। এ মাধ্যমে প্রতিবছর ৫০ কোটি মার্কিন ডলার পায় তালেবান। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওর খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয়ভাবে কর আদায় করে তালেবান। এছাড়া দেশটির বর্ডার ক্রসিং থেকে অর্থ আদায় করে তারা। সমর্থকেরাও তাদের অর্থ দিয়ে থাকে। আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত এলাকায় পপি চাষ করা হয়। এগুলোও আয়ের অন্যতম উৎস।
আল-কায়েদার আশ্রয় : যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হামলার পর যে সংগঠনের নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়েছিল, সেটি হলো আল-কায়েদা। এ সংগঠনের নেতা ওসামা বিন লাদেন এবং তার সংগঠনের সদস্যদের আশ্রয় দিয়েছিল তৎকালীন তালেবান সরকার। সেই অভিযোগেই ২০০১ সালে আফগানিস্তানে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর তালেবান ও আল-কায়েদার স্থাপনা লক্ষ্য করে কাবুল, কান্দাহার ও জালালাবাদে প্রথম বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। এরপর ২০০১ সালের ১৩ নভেম্বর তালেবান সরকারের পতন হয়। কিন্তু এ পতনই শেষ নয়। কারণ, সে সময় তালেবানের শীর্ষ নেতা মোল্লা ওমর, আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনসহ বেশ কিছু জ্যেষ্ঠ নেতা আফগানিস্তান ছেড়ে পাকিস্তানে পাড়ি জমান। তাদের অনেকেই পাকিস্তানের কোয়েটা শহরে ছিলেন। সেখান থেকে তারা সংগঠন পরিচালনা করতেন। যদিও পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে বারবার। কিছু তথ্য-উপাত্তের নিরিখে বলা যায়, তালেবানের শীর্ষ নেতৃত্ব পাকিস্তানেই ছিল। এর প্রমাণ মেলে ২০১৫ সালে। ওই বছর তালেবান স্বীকার করে, মোল্লা ওমর মারা গেছেন। প্রায় দুই বছর পাকিস্তানের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি মারা যান। মোল্লা ওমরের পর তালেবানের নেতা হন মোল্লা মনসুর। ২০১৬ সালে ড্রোন হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। আফগান-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়। এরপর নেতা হন হাইবাতুল্লাহ। ন্যাশনাল ওয়ার্ল্ডের খবরে বলা হয়েছে, তালবোন ও আল-কায়েদার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সোভিয়েতের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও তাদের যোগসূত্র ছিল। ফলে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যখন তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যে, আল-কায়েদা ঠেকানোর জন্য এ সংগঠন কাজ করবে, তখন অনেক বিশ্লেষক উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, এ চুক্তির পরও আল-কায়েদাকে সাহায্য করতে পারে তালেবান।
আদর্শ : ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর নতুন আইনব্যবস্থা প্রণয়ন করে তালেবান। তারা আফগানিস্তানকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করে। প্রতিশ্রুতি দেয়, ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে ইসলামি আইনে। বিবিসি বলছে, ক্ষমতায় যাওয়ার পর শরিয়া আইনের একটি কঠোর সংস্করণ বাস্তবায়নের পথে হাঁটে তারা। সেসবের মধ্যে অন্যতম ছিল, হত্যাকারীর শাস্তি হিসেবে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড। এছাড়া চুরির অপরাধ হিসেবে অঙ্গচ্ছেদের বিষয়টি কার্যকর করে তারা। তখন তালেবানের আইনে বলা হয়, পুরুষ হলে দাড়ি রাখতে হবে এবং নারীদের বাধ্যতামূলক বোরকা পরতে হবে। তালেবানের সেই আমলে আফগানিস্তানে টেলিভিশন নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া সংগীত ও চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ করা হয়। ১০ বছরের বেশি বয়সী মেয়েশিশুদের পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তারা। নিউইয়র্ক টাইমসের দেওয়া তথ্য অনুসারে, তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এটাও ঘোষণা দেয়, দেশটিতে অন্য ধর্মের চর্চা মেনে নেওয়া হবে না। সেই ঘোষণার পর ২০০১ সালে ৮০০ বছরের পুরনো বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তি ভেঙে ফেলে তারা।
বিশ্লেষকদের মতে, তালেবানের সরকারব্যবস্থা আধুনিক; কিন্তু তাদের অনুশাসন বড্ডো কঠোর। শুধু পড়াশোনা নয়, নারীদের বাইরে কাজ করার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তারা। সে সময় এমন আইনের প্রচলন ছিল যে, কোনো নারী মুখ না ঢাকা অবস্থায় বাইরে বেরুলে তাকে সাজা পেতে হবে। অবিবাহিত নারী ও পুরুষকে একসঙ্গে দেখা গেলে তাদের সাজা হবে। তালেবানের এ মনোভাব যে এখনও বদলায়নি, তা তাদের চলমান নেতৃত্বের কার্যক্রমেও স্পষ্ট।
লেখক : গবেষক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশ্লেষক ও গণমাধ্যমকর্মী