সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি কমতে থাকায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে অনেক বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ভাঙনে এখন হতাশাগ্রস্ত যমুনা পাড়ের বহু পরিবার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় বর্ষণ হলেও যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে।
এ বর্ষণ জনিত কারণেই ভাঙনের তীব্রতাও বাড়ছে। যমুনার তীরবর্তী বেলকুচি, কাজিপুর, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর. কাজিপুর ও চৌহালী উপজেলার সোনাতনি চর, ধিতপুর, বারপাকিয়া, চরঠুটিয়া, নাটোয়ারপাড়া, তেকানি, নিশ্চিন্তপুর, কুড়াগাছা, ফেকশনপাড়া, চালাহারা, তেঘরি, উত্তর তেঘরি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটপিয়ারি চর, মেছড়া চর, গোটিয়ার চরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে ভাঙন এখন তীব্র আকার ধারণ করছে। এ ভাঙনে এরইমধ্যেই চরাঞ্চলের আঁখ পাট ও বাদামসহ বিভিন্ন ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানান, প্রতিবছরই চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙন দেখা দেয়। এবার ভাঙনে বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। তবে কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীর পানি কমলেও দফায় দফায় বর্ষণে এ ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে এবং চৌহালী উপজেলার স্থল ইউনিয়নের অনেক স্থানে তীব্র আকারে ভাঙন শুরু হয়েছে। বহু পরিবার অনত্রও আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ঢেউটিন বিতরণসহ অনান্য সহযোগিতার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন বলেন, কয়েকদিন ধরে যমুনায় পানি কমছে। তবে দফায় দফায় বর্ষণজনিত কারণে অনেক স্থানে ভাঙনের খবর জেনেছি। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।