কক্সবাজারে জামায়াত নেতার নেতৃত্বে হামলায় আহত বিএনপি রহিম উদ্দিন সিকদার মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রামের এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন নিহতের ভাই ও সদরের ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান সিকদার। নিহত রহিম সিকদার কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি। গত রবিবার পানিরছরা এলাকায় হামলা আহত হয়েছিলেন। এ ঘটনায় আহত আরও দুইজন আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রামের একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন নিহতের ভাই শফিকুর রহমান সিকদার। তিনি জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের একজন প্রবাসীর একটি জায়গায় ৫ আগস্টের পর থেকে কক্সবাজার লাইট হাউস ফাতেরঘোনা ইউনিট জামায়াতের সভাপতি আব্দুল আল নোমানের নেতৃত্বে দখল করার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় প্রবাসী পরিবার কক্সবাজার সদর থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে কিছুদিন আগে পুলিশের এস আই তদন্তে গেলে এসআইয়ের অনুরোধে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবং সাবেক চেয়ারম্যান তিনি উভয় পক্ষের কাগজ পত্র দেখে সমস্যার সমাধান করে দেন। এ সময় নোমানরা জায়গায় আর না যাবে না মর্মে পুলিশকে মুচলেখাও দেয়। এ ঘটনার জের ধরে নোমান শফিকুর রহমান সিকদারসহ তার পরবিরের উপর ক্ষিপ্ত হয়েছে মন্তব্য করে বলেন, গত রোববার আমার চাচাত ভাই জাহেদ সিকাদারকে পানির ছরা যাওয়ার পথে নোমানের নেতৃত্বে মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে মারধর করে। খবর পেয়ে খবর পেয়ে আমার ভাইপো ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাকিব সিকদার, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রহিম সিকদার, শাহিন সিকদার ও জসিম সিকদার ঘটনাস্থলে যান। ওখানে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। ঘটনায় রহিম, সাকিবকে মাথায় দেশিয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। শাহিন এর হাতে দা দিয়ে কুপিয়ে এবং জসিম সিকদারকে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই সাকিব, রহিম শাহিনকে চট্টগ্রাম রেফার করা হয়। সেইখানে রহিম ও সাকিবকে মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয় এবং শাহিনের হাতে ২২সেলাই এর অপারেশন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭ চট্টগ্রাম এভার কেয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় রহিম সিকদার ইন্তেকাল করছে এবং সাকিব সিকদার আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তিনি জানান, স্থানীয় ফাতের ঘোনা ইউনিট জামায়াতের সভাপতি আব্দুল আল নোমান, জামাই মিজান, মুজিব, এনামরা হামলা চালায়। কক্সবাজার সদর থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস খান রহিম সিকদারের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে পরিবারের পক্ষে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এরপরও পুলিশ ঘটনায় জড়িতের ধরতে অভিযান শুরু করেছে। এরইমধ্যে অভিযুক্ত মিজানকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ঘটনার বিষয়ে জামায়াতের দায়িত্বশীলদের বা অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।