
রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (রুয়ার) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি এম রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, রুয়া একটি অরাজনৈতিক সংগঠন এবং তা অরাজনৈতিকভাবেই চলবে। আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে নিরপেক্ষভাবেই কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাই। গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (রুয়ার) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট দায়িত্ব অর্পণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে রাবির সব সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে রি-ইউনিয়ন করার ইচ্ছাও পোষণ করেন তিনি। পাশাপাশি রুয়া এ পর্যন্ত কি কি কার্যক্রম পরিচালনা করেছে এবং সব হিসাব অল্প সময়ের মধ্যে বুঝিয়ে দিতেও তিনি সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, রুয়ার এই যাত্রা সহজ ছিল না। শুধুমাত্র শক্ত মেরুদণ্ড সম্পন্ন মানুষের পক্ষেই এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব ছিল এবং তারা সেটি করে দেখিয়েছেন। তাদের প্রতি এই বিশ্ববিদ্যালয় চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। নির্বাচনের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের নৈতিকতার কোনো কমতি ছিল না। তিনি আরও বলেন, আমরা দাওয়াত দিয়ে কাউকে আনিনি, আমাদের পক্ষ থেকে কাউকে বাদও দেইনি। সততার জায়গা থেকে এতটুকুও কম্প্রোমাইজ করিনি আমরা। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন অথবা করেননি, তাদের সবাইকে বলছি সামনের পথে সবাইকে একসঙ্গে নিয়েই চলতে হবে। আমরা যে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যায়, এটি রুয়ার আদর্শ না। তাই আমাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটা সুন্দর রুয়ার পথে কাজ করতে হবে।
অবিলম্বে রুয়ার অফিসের ব্যবস্থা করা হবে এবং সব হিসাব খুব দ্রুত সময়ে বুঝিয়ে দেওয়া হবে জানিয়ে উপাচার্য সার্বিক সহযোগীয় অগ্রগামী থাকার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। অনুষ্ঠানে রুয়ার অ্যাডহক কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. সামিউল ইসলাম সরকারের সঞ্চালনায় দায়িত্ব অর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দীন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. একরামুল হামিদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. এফ নজরুল ইসলাম, রাবির জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন মজুমদার, লিগ্যাল সেলের প্রশাসক প্রফেসর ড. আব্দুর রহীম সাগর, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আমীরুল ইসলাম কনকসহ রুয়ার অ্যাডহক কমিটি ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা।