ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

গুরুদাসপুরে রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ

গুরুদাসপুরে রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা চাপিলা ইউনিয়নে একটি রাস্তায় কাদামাটিতে ধানের চারা রোপণ করে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। গত সোমবার দুপুরে উপজেলার ধানুরা মোল্লাপাড়া রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে এ প্রতিবাদ জানান। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ধানুড়া মোল্লাপাড়ার রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। কিন্তু এত বছরেও রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় সাধারণ মানুষদের দুর্ভোগের শেষ নেই। বর্ষাকালে সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই কাচা রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত কাদায় পরিণিত হয়। ফলে চলাচলে একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে রাস্তাটি। রাস্তাটি দিয়ে জেলা সদর ও উপজেলার মহারাজপুর, পুরুলিয়া, বৃপাথরিয়া, চাপিলা, বৃগরিলা, রশিদপুর, মোকিমপুরসহ ১০-১২টি গ্রামের সাধারণ মানুষ চলাচল করেন।

কিন্তু রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় জেলা শহরে যেতে ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। এতে করে সময় নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে যাতায়াতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এ কাঁচা রাস্তাটি দিয়ে বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা জেলা শহরসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতাযাত করে থাকে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিক শস্য ও মাছ প্রতিনিয়তই এ রাস্তা দিয়ে আনা-নেওয়া করেন থাকেন। গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও পাকা না হওয়ায় গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তার মাঝে কাদাপানিতে ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানান।

ধানুড়া মোল্লাপাড়া এলাকার ৮০ বছরের বৃদ্ধ মো. আব্দুল হামিদ মৃধা বলেন, আমার বয়সে এ রাস্তায় একবার মাটি ফেলানো হয়েছে। এরপর এই রাস্তাটি আর কোনো সংস্কারের মুখ দেখেনি। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটু কাদামাটিতে একাকার হয়ে পড়ে। এতে করে এলাকার অসুস্থ্য রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা হাটে-বাজারে যেতে পারি না।

স্থানীয় ডাক্তার কলিম রেজা বলেন, আমরা এ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বার বার ইউনিয়ন পরিষদকে অবহিত করেছি। কিন্তু রাস্তাটি সংস্কারের মুখ আজও দেখিনি। অসুস্থ্য ব্যক্তিদের জরুরি ভাবে হাসপাতালে নেওয়ার মতো রাস্তার পরিবেশ নেই। আমরা রাস্তা দ্রুত সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করছি।

চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, এ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য একাধিকার বার যথাযথা দপ্তরে আবেদন করেছি। কিন্তু আবেদনটি এখনও আলোর মুখ দেখেছি। ফলে রাস্তাটি একেবারে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে এলাকার মানুষের চলাচলা উপযোগী করতে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত